+91 98304-64566 atnmediicaree@gmail.com

স্বল্প ওজনে ভূমিষ্ঠ শিশু বা সময়ের আগে জন্ম নেয়া শিশুরা জন্ডিসে বেশি আক্রান্ত হয়। এ ছাড়া জন্ডিসের কারণ হিসেবে যে বিষয়গুলো ধরা হয়, তা হল-

মা ও শিশুর রক্তের গ্রুপ যদি এক না হয়।

শিশু সঠিক সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে বুকের দুধ না পেলে, অনেক সময় একে ব্রেস্ট ফিডিং জন্ডিসও বলা হয়।

গর্ভাবস্থায় মায়ের কোনো সংক্রমণের ইতিহাস ঘটলে ।

শিশু জন্মগত ভাবে কোনো রোগে আক্রান্ত হলে।

জন্মের পর শিশুর রক্তে সংক্রমণ বা সেপটিসেমিয়া।

জন্মগতভাবে শিশুর যকৃৎ বা পিত্তথলিতে কোনো ধরনের সমস্যা হলে ইত্যাদি

কীভাবে বুঝবেন জন্ডিস হয়েছে।

শিশুর হাতের তালু হলুদ হয়ে গেছে কিনা ভাল করে লক্ষ্য করুন। সাধারণত শিশুর মুখ, হাত ও বুক বা পেটের উপর পর্যন্ত হলুদ হয়ে যায়।এছাড়া মলের রং সবুজ হতে পারে। শিশুর গায়ের রং পরিবর্তিত হতে দেখলে রক্তের মধ্যে বিলিরুবিনের মাত্রা পরীক্ষা করা যায়। রঙের পরিবর্তন বাড়তে দেখলে এই বিলিরুবিন প্রয়োজনে বারবার পরীক্ষা করে নেওয়া  যায়।

জন্ডিস হলে কি মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো যাবে !

মনে রাখবেন, কোনো অবস্থায়ই নবজাতককে বুকের দুধ খাওয়ানো থেকে বিরত রাখা যাবে না। শিশুকে নিয়মিত  ভাবে দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর পর বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। বিশেষ করে ফিজিওলজিক্যাল বা স্বাভাবিক জন্ডিসের মূল চিকিৎসাই হল শিশুকে ঠিকমতো মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো।

জন্ডিসের রোদ চিকিৎসা বা আলো চিকিৎসা
বিলিরুবিনের মাত্রা খুব বেড়ে গেলে সাধারণত শিশুকে ফটোথেরাপি বা আলোক চিকিৎসা দেয়া হয়। কারণ এর উপকারিতা ও কার্যকারিতা নিয়ে মতভেদ থাকলেও এখন পর্যন্ত এই পদ্ধতিই ব্যবহার করা হইতেছে। এ ছাড়া প্রতিদিন সকালে নবজাতককে প্রায় আধা ঘণ্টা রোদ পোহাতেও বলা হয়। তবে সূর্যের কড়া রোদ ও অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের জন্য খুব ক্ষতিকর হতে পারে।

কখন খুব সতর্ক হবেন
স্বাভাবিক জন্ডিস সাত দিন এর মধ্যেই সেরে ওঠার কথা। এর পরও কিছু ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা খুব জরুরি। শিশু জন্মের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জন্ডিস দেখা দিলে, এছাড়া সাত বা দশ দিনের পরও না সারলে, শিশু খাওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিলে বা কমিয়ে দিলে, জ্বর বা সংক্রমণের লক্ষণ দেখা দিলে , বিলিরুবিনের মাত্রা দ্রুত বাড়ে গেলে অথবা আগের কোন শিশু জন্ডিসের কারণে মারা গেলে খুব তারাতারি ডাক্তার এর সাথে যোগাযোগ করুন।