প্রায় তিন হাজার বছর আগে মধ্যে এশিয়ায় আবিষ্কার হয়েছিল রসুন। সেই থেকে শুরু করে আজ অবধি সারা বিশ্ব জুড়ে এর ব্যাপক ব্যবহার চলছে। এই ভেষজ উদ্ভিদ শুধু যে রান্নার কাজে ব্যবহৃত হয় তা নয়, একাধিক ওষুধ রূপেও এর কার্যাবলি বেশ উল্লেখযোগ্য।
শীতকালে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে- রসুন সংক্রমণ এবং অন্যান্য রোগ নিরাময় করতে পারে। সাইনোসাইটিস, ঠান্ডা এবং ফ্লুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে আপনি গরম ঝোল এবং স্যুপে রসুন যোগ করতে পারেন। কাঁচা রসুনও খেতে পারেন।
ওজন কমাতে সাহায্য করে রসুন- ওজন কমাতে খাবারে রসুন অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। রসুনে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি আপনাকে ডিটক্স করতে এবং আপনার বিপাককে দ্রুত করতে সহায়তা করে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ওজন কমানোর জন্য সকালে কাঁচা রসুন এবং মধু খাওয়ার পরামর্শ দেন।
শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নত করে – রসুনের প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যগুলি শ্বাসযন্ত্র এবং ফুসফুসের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, যা প্রায়শই সর্দির সময় জ্বর এবং গলা ব্যথার কারণে প্রভাবিত হয়। এছাড়াও যাঁরা অস্থমার রোগী তাঁরাও নিয়মিত রসুন খেতে পারেন।
ক্ষত নিরাময় করে- রসুনের রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬ সহ একাধিক ভিটামিন। ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম এবং আয়রনের মত একাধিক খনিজ উপাদান এর মধ্যে বর্তমান। এতে কার্বোহাইড্রেট এবং অল্প পরিমাণে প্রোটিন ছাড়াও থিয়ামিন এবং প্যান্থোথেনিক অ্যাসিড রয়েছে। রসুনের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক বৈশিষ্ট্য, এই কারণে প্রাচীন কালে ক্ষত সারানোর জন্য রসুন ব্যবহার করা হত।
হাইপারটেনশন- রসুনের মধ্যে থাকা অ্যালিসিন উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। নিম্ন রক্তচাপের ক্ষেত্রেও শরীরে রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে রসুন। তাই মানসিক চাপের মত সমস্যাও রসুনের দ্বারা নির্মূল করা সম্ভব। শুধু তাই নয় থ্রম্বোসিসের মত রোগকেও প্রতিরোধ করে রসুন।