শিশুদের ওজন বৃদ্ধি বেশিরভাগ ভারতীয় মায়ের কাছে প্রাথমিক উদ্বেগের বিষয় হলেও, এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, আপনার লক্ষ্য একটি সুষম খাবার নিশ্চিত করা, যা আপনার সন্তানের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত পুষ্টি সরবরাহ করে । এটি শিশুকে সুস্থ ওজন বৃদ্ধি করতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সাহায্য করবে । আপনার সন্তানকে দিনে তিনবার সুস্থ, সুষম খাবার এবং মাঝে মাঝে স্বাস্থ্য-বান্ধব জলখাবার দিন । একটি বৈচিত্রময় খাবার অভ্যাসও নিশ্চিত করে যে, তারা যথেষ্ট পুষ্টি, নানা ভিটামিন এবং সমস্থ খনিজ পদার্থ পায়, যেগুলি তাদের মস্তিষ্ক এবং শরীরের সার্বিক বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় ।
কীভাবে শিশুদের ওজন বাড়ানো যায়?
কিছু বাচ্চার ওজন কিছুতেই বাড়তে চায় না, এবং এর পিছনে বহু কারণ থাকতে পারে, যেমন- বাবা-মায়ের জন্মগত গঠনপ্রকৃতি । । যদি বাবা এবং মা উভয়েই রোগা হন, তাহলে শিশুও একই রকম শারীরিক বৈশিষ্ট্য পেতে পারে । মেটাবলিজম বা বিপাকপ্রক্রিয়াও শিশুর ওজন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । আপনার শিশু যদি সক্রিয় এবং স্বাস্থ্যবান হয়, ওজনের মাইলফলক ঠিকই ছুঁয়ে ফেলবে । আপনার শিশুর জন্য একটি খাবার ডায়রি রাখতে পারেন, যেখানে আপনি পছন্দ, অপছন্দ, বেছে নেওয়া খাবার ও অ্যালার্জিগুলি নোট করতে পারেন, এবং মা এবং বাচ্চা উভয়ের জন্য খাবার সময়ে মজা ও ঝামেলা-মুক্ত করতে সাপ্তাহিক মেনু তৈরি করুন । আপনার শিশুরজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করার জন্য এখানে কিছু টিপস রইল ।
- আপনারসন্তানযেনযথেষ্টব্যায়ামএবংশারীরিকক্রিয়াকলাপকরে, যাতেতারক্ষিদেস্বাস্থ্যকরহয়, তানিশ্চিতকরুন।
- সুস্থ, সুষম এবং পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার ব্যাপারে মনোযোগ দিন এবং ওজন বৃদ্ধির উপর বেশি মনোনিবেশ করবেন না ।
- শিশু যখন বড় হয়, তাদের সাঁতার, সাইক্লিং প্রভৃতি খেলাধূলার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিন । এটি আপনার শিশুর ক্ষিদের উপর কাজ করতে সাহায্য করবে এবং তার শারীরিক বিকাশও ঘটাবে ।
আপনার শিশুর স্বাস্থ্যকর খাওয়া কেন গুরুত্বপূর্ণ?
জীবনের প্রাথমিক বছরগুলিতে বাচ্চাদের স্বাস্থ্যকর খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা খুব গুরুত্বপূর্ণ । আপনি আপনার শিশুকে তার প্রাথমিক পর্যায়ে যখন স্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস করান, তখন এটা সম্ভাবনা থাকে যে, সেটি তার সারাজীবনের সঙ্গী হবে । এটি তাদের বড় হওয়ার পর খাবার সময়ের মারামারি ও বিরক্তিকর মুখ করাও নিশ্চিতভাবে কমিয়ে দেয় । এর ফলে বাইরে খেতে গেলে বা কোথাও বেড়াতে গেলে আপনার ক্ষেত্রে সহজ হবে । সে জাঙ্কফুড না ফল ও স্যালাড, কিসের প্রতি আসক্ত হবে, এই পর্যায়ে আপনিই তা নির্ধারণ করবেন । স্বাস্থ্যকর খাবারের পাশাপাশি, আপনার বাচ্চা যেন সক্রিয় থাকে এবং খেলা ও সূর্যের আলোয় বেরুনোর মতো যথেষ্ট সময় পায়, তা আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে । এটা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে সাহায্য করে এবং ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন কিছুটা কোন করে ।
বয়স অনুযায়ী আপনার বাচ্চাদের ওজনের ভাগ
শিশুর বয়স | |||
ছেলে (কেজি) | মেয়ে (কেজি) | ||
জন্মের সময় | ৩.৩ | ৩.২ | |
৩ মাস | ৬.০ | ৫.৪ | |
৬ মাস | ৭.৮ | ৭.২ | |
৯ মাস | ৯.২ | ৮.৬ | |
১ বছর | ১০.২ | ৯.৫ | |
২ বছর | ১২.৩ | ১১.৮ | |
৩ বছর | ১৪.৬ | ১৪.১ | |
৪ বছর | ১৬.৭ | ১৬.০ | |
৫ বছর | ১৮.৭ | ১৭.৭ | |
৬ বছর | ২০.৭ | ১৯.৫ | |
৭ বছর | ২২.৯ | ২১.৮ | |
৮ বছর | ২৫.৩ | ২৪.৮ | |
৯ বছর | ২৮.১ | ২৮.৫ | |
১০ বছর | ৩১.৪ | ৩২.৫ | |
১১ বছর | ৩২.২ | ৩৩.৭ |