+91 98304-64566 atnmediicaree@gmail.com

স্বাস্থ্যমান হৃদপিণ্ড থেকে শুরু করে শক্তিশালী হার পাওয়ার জন্য প্রতিদিন মানবদেহে দরকার পড়ে কিছু জরুরী খনিজ পুষ্টি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এই অনিয়মিত খাদ্যাভাস এ যুগে আমরা প্রায়ই আমাদের দেহের চাহিদা অগ্রাহ্য করি। তারচেয়ে বরং আমরা শুধু টেস্ট দেখি। ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ কমে যায়। কিছু খনিজ পুষ্টি নাম।

১। সোডিয়াম-

এই খনিজ পুষ্টি উপাদান টি রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি আমাদের দেহে নানা ধরনের তরল পদার্থের মধ্যকার ভারসাম্য বজায় রাখে। তবে বেশি মাত্রায় সোডিয়াম খেলে আবার ক্ষতি হতে পারে।

লবণ, আচার, ভাজা ও লবণাক্ত বাদাম, বেগুন এবং তরমুজের সোডিয়াম পাওয়া যায়।

২। পটাশিয়াম-

পটাশিয়াম এর আরেক নাম ইলেক্ট্রোলাইট। যা প্রোটিন করতে সহায়ক এবং কার্বোহাইড্রেট কে আরো ভেঙে ফেলতে কাজ করে এবং হৃদপিণ্ডকে সচল রাখতে সহায়ক করে।

আলু, টমেটো, লাল মাংস, মুরগি ও কমলায় থাকে প্রচুর।

৩। ফসফরাস-

হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে হরমোনগত ভারসাম্য রক্ষা এবং হাড়কে শক্ত পোক্ত করতে কাজ করে এই খনিজ পুষ্টি উপাদান।

সিম ,ডাল, ব্রকলি ,কন, বাদামের মাখন আছে ফসফরাস।

৪। জিংক

ঠান্ডা সর্দি এবং ইনফেকশনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে খুব কার্যকর জিংক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এছাড়াও প্রয়োজন উবরতাও বাড়াই এটি।

ছোলা, দই , ওটমিল, মুরগি,  বুকের দুধ এবং সবুজ মটরশুটিতে পাওয়া যায় এই খনিজ পুষ্টি উপাদান টি।

৫। ম্যাগনেসিয়াম

আমাদের দেহের জন্য আর একটি জরুরী খনিজ পুষ্টি উপাদান হলো ম্যাগনেসিয়াম। গ্লুকোজের বিপাকক্রিয়া প্রক্রিয়া এবং হৃদপিন্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ম্যাগনেসিয়াম। ম্যাগনেসিয়াম এর ঘাটতি হলে হাইপার টেনশন বা উচ্চরক্তচাপ দেখা দেয় এবং দেহের ইনসুলিন সংবেদনশীল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ফ্ল্যাক্স সিড বা শ্বেত বীজ, হিজলি বাদাম, কাজুবাদাম এবং ডাক চকলেট খেতে হবে।

৬। আয়রন-

রক্তে হিমোগ্লোবিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিমোগ্লোবিন। ফুসফুস থেকে রক্ত অক্সিজেনে স্থানান্তরের প্রধান ভূমিকা পালন করে হিমোগ্লোবিন। মানবদেহে আয়রন বা লৌহ একটি ঘাটতি হলে রক্তশূন্যতা বা রক্তাল্পতার মতো মারাত্মক সমস্যা দেখা।

ছোলা, কুমড়ো বীজ, কিসমিস, ডাল, কচু এবং শিমের বিচি।

৭। আয়োডিন

থাইরয়েড হরমোন তৈরীর জন্য মানবদেহের আয়োডিন দরকার হয় আয়োডিনের ঘাটতি হলে অবসাদ ক্লান্তি কোলেস্টরেলের মাত্রা এবং থাইরয়েড গ্রন্থি স্ফীতি ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়।

৮।কপার

কোলাজেন গঠনের সহায়ক কপার যা আমাদের দেহে টিস্যুগুলো স্বাস্থ্য ভালো রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এ ছাড়া দেহের যথাযথ বৃদ্ধি এবং হৃদপিন্ডের ঠিক রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

মাশরুম কিডনি বিন হিজলি বাদাম অ্যাভোকাডো শুকানো আলুবোখারা এবং শিমের বীজ খেতে হবে কপার পেতে চাইলে।

৯। কোবাল্ট

এটি ভিটামিন বি ১২ এর একটি জরুরী অংশ আর আরেক নাম কোবালামিন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে মানবদেহের যথাযথ সচেতনতার জন্য খুবই সামান্য পরিমাণে কোবাল্ট দরকার হয়। কিন্তু তার মানে এই নয় যে এটি নিয়ে অবহেলা করা যাবে।

১০। ক্যালসিয়াম

আমরা জানি দাঁত এবং হাড় শক্ত পোক্ত করার জন্য দরকার হয় ক্যালসিয়াম। ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হলে অস্টিওপোরোসিসের নতুন রোগ এ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

দুধ, পনির, স্পিনার, ডুমুর, কচু এবং ছোলাতে পাওয়া যায় ক্যালসিয়াম।