+91 98304-64566 atnmediicaree@gmail.com

বেশ ভালোই শীত পড়ল। আর শীত পড়া মানেই আমাদের মনে পড়ে ভ্যাসলিনের কথা। আট থেকে আশি সকলের এই জিনিসটি না হলে কিন্তু এই শীতে একদম চলে না।

১। ঠোঁট ফাটা আটকাতেঃ- ঠোঁট ফাটা বন্ধ করতে সেই কবে থেকে আমরা ভ্যাসলিন ব্যবহার করে আসছি। দিনে যে কোনও সময়েই আমরা ভ্যাসলিন মেখে নিই ঠোঁটে। আর আমরা উপকারও তো পাই এতে। ঠোঁট আমাদের ত্বকের মধ্যে সবচেয়ে সেনসিটিভ অংশ। তাই এটি খুব তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। একটু ভ্যাসলিন রাতে ঘুমোতে যাবার আগে ব্যবহার করলেই কিন্তু ঠোঁট ফাটার থেকে এই শীতে রেহাই পাবেন।

২। নাকের জ্বালা বন্ধ করতেঃ- এই শীতের সময়ে আরেকটি খুব বড় সমস্যা হয় নাক সুড়সুড় আর নাক শুকিয়ে যাওয়া নিয়ে। সর্দি হলে নাক থেকে জল পড়ার পাশাপাশি এই সমস্যাও কিন্তু আমাদের খুবই ভোগায়। যতই আমরা রুমাল বা ন্যাপকিন ব্যবহার করি না কেন এই সব জিনিসের ঘষায় নাক আরও ড্রাই হয়ে যায়। তাই এই শীতে ভ্যাসলিন ব্যবহার করুন। নাকের চারপাশে অল্প ভ্যাসলিন লাগিয়ে রাখলে ওই অংশ তার ময়েশ্চার ফিরে পাবে।

৩। ডার্ক সার্কেল প্রতিরোধেঃ- ঠোঁটের মতো আরেক সেনসিটিভ জায়গা হল চোখের নিচের অংশ। শীতের সময়ে আমরা খুব একটা জল ধরতে চাই না। তাই স্কিন ক্লিনসিং বা ময়েশ্চারাইজিং অনেক সময়ে আমরা বাদ দিয়ে ফেলি। প্রতিনিয়ত ময়েশ্চার হারাতে হারাতে এই অংশও কিন্তু তার জেল্লা হারিয়ে ফেলে। কিন্তু জেল্লা ফিরে আসতে পারে ভ্যাসলিনের হাত ধরে। তুলোয় একটু ভ্যাসলিন নিয়ে চোখের নিচের অংশে লাগিয়ে নিন। ১০ মিনিট রেখে জল দিয়ে মুছে নিন। টানা এটি করতে থাকলে খুব তাড়াতাড়ি দেখবেন চোখের তলার কালি চলে গেছে।
৪। ফেটে যাওয়া গোড়ালিঃ- গোড়ালি ফেটে যাওয়া, পায়ের আঙুলের মাঝে জ্বালা করা, ড্রাই হয়ে যাওয়া খুব সাধারণ ঘটনা এই শীতে। আর দিনের পর দিন পায়ে ঠিক করে জল না দেওয়ার জন্য, ময়েশ্চার না থাকার জন্য কিন্তু বাজে গন্ধ আসতে পারে পা থেকে। রোজ রাতে শুতে যাওয়ার আগে একটু ভ্যাসলিন দিন পায়ে। তার ওপর দিয়ে মোজা পরে নিন। এতেই আপনার পা সার্বিক ভাবে সুন্দর থাকবে।
৫।কনুই শুকিয়ে গেলেঃ- কনুই শুকিয়ে কালচে হয়ে যাওয়া আর খড়খড়ে হওয়ার সমস্যার সমাধান এই ভ্যাসলিন। রোজ দিনে যতবার পারবেন কনুইতে দিন ভ্যাসলিন। জল দিয়ে ধোয়ার দরকার নেই। টানা একমাস এটা করলে আস্তে আস্তে দেখবেন কনুই তার আগের রঙ ফিরে পেয়েছে। খুব ভাল হয় যদি উষ্ণ জলে স্নান করে আসার পর এটি করেন। এতে ভ্যাসলিন স্কিনের ভিতরে ঢুকতে পারবে সহজে। দেখবেন এই শীতে আর খুব একটা টানছে না কনুই।
৬। স্কিন লালচে হওয়াঃ- কনুই শুকিয়ে কালচে হয়ে যাওয়া আর খড়খড়ে হওয়ার সমস্যার সমাধান এই ভ্যাসলিন। রোজ দিনে যতবার পারবেন কনুইতে দিন ভ্যাসলিন। জল দিয়ে ধোয়ার দরকার নেই। টানা একমাস এটা করলে আস্তে আস্তে দেখবেন কনুই তার আগের রঙ ফিরে পেয়েছে। খুব ভাল হয় যদি উষ্ণ জলে স্নান করে আসার পর এটি করেন। এতে ভ্যাসলিন স্কিনের ভিতরে ঢুকতে পারবে সহজে। দেখবেন এই শীতে আর খুব একটা টানছে না কনুই।