+91 98304-64566 atnmediicaree@gmail.com

শরীরের প্রয়োজনীয় অঙ্গের একটি হলো ফুসফুস। একজন স্বাস্থ্যবান মানুষ দিনে 25 হাজার বার শ্বাস নেয়। সুতরাং শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার কাজে ফুসফুসের বিকল্প নেই। কাজেই ফুসফুসের কাজ অবিরাম চলতে থাকে, কখনোই যেন এ বিরাম নেই। তাই সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে ফুসফুস ও রাখতে হবে স্বাস্থ্যকর।

১. পাকস্থলী থেকে শ্বাস নিন- সাইক্লিং সহ বেশ কিছু খেলাধুলায় মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসের বেশি শক্তিশালী হয়। তবে সমীক্ষায় দেখা গেছে, কিছু ব্যায়াম ও নিশ্বাসের গতি বাড়াতে পারে। এইজন্য দিনে অন্তত পাঁচ মিনিট পাকস্থলী থেকে শ্বাস নেওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন। এ ধরনের শ্বাস নেওয়ার সময় ফুসফুসে বাতাস ডুকবে ও পেট সম্প্রসারিত হয়। এতে আপনার বক্ষ ও উদরের মধ্যবর্তী অর্থাৎ বুকের পাঁজরের ভেতরে পেশী বেশ শক্তিশালী হবে, নিঃশ্বাস গ্রহণ সহজতর হবে। শ্বাস-প্রশ্বাসের হার বেড়ে যাবে। অক্সিজেন এর চাহিদা কমবে।

২. ধূমপান ত্যাগ করা- ধূমপানে ওদের কাছে এই কথাটি শুনতে হয়তো বিরক্তই লাগবে। কেননা অধিকাংশ ধূমপানেও জানেন ধূমপানের ক্ষতিকর দিকগুলো কথা। ধূমপান ছেড়ে দিতে পারেনা বেশিরভাগই। তারপর একটু ভাবুন তো এই একটিমাত্র অভ্যাস এর অধীনে কতগুলো রোগের হাত থেকে মুক্তি পেতে পারেন আপনি। ধূমপান বন্ধ করলে ফুসফুসের ক্যান্সার, সিওপিডির মতো কঠিন রোগ গুলোর হাত থেকে অনেকটা রেহাই পাওয়া যায়। ধূমপান করলে শ্বাসনালিকে সরু হয়ে যায় এতে শ্বাসকষ্ট হয়। ফুসফুসের দীর্ঘমেয়াদি প্রবাহ ও ফোলা ভাব তৈরি হয়।

৩. নিয়মিত আপেল খাবেন-

ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে,   An Apple A Day , Keep the Doctor Away. অর্থাৎ দিনে একটি আপেল খান আর চিকিৎসকের থেকে দূরে থাকুন। মোটামুটি সপ্তাহে পাঁচটির বেশি আপেল খেলে মানুষের ফুসফুসের কার্যকারিতা  বারে। ইতিহাস গ্রহণের সময় বুকে শন শন শব্দ প্রবণতা হ্রাস পায়। আজ মার মতন বেশ কিছু রোগ থেকেও আপনি নিরাপদ থাকতে পারবেন।

৪. পরোক্ষ ধূমপান এড়িয়ে যাওয়া-

একজন ধূমপায়ী কেবল নিজেরই ক্ষতি করেনা আশেপাশে যারা থাকে তাদের ক্ষতি করে ন। ধূমপান না করেও যারা ধূমপান ঈদের কাছাকাছি থাকেন বা ধূমপানের সময় আশেপাশে থাকেন তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হয় একে পরোক্ষ ধূমপান বলা হয়। এইতো ফুসফুসের ক্ষতি হয়। তাই ঘরে কর্মক্ষেত্রের ও গাড়িতে কেউ ধূমপান করলে তাকে মানা করুন এবং নিজেও ধূমপান থেকে দূরে থাকুন।

৫. জীবনের উজ্জ্বল স্মৃতিগুলো স্মরণ করুন-

প্রায় আট বছর ধরে চালানো এই গবেষণায় দেখা গেছে ফুসফুসের সক্ষমতা দিক থেকে আশাবাদী লোক গুলো অনেক ভালো আছে। হতাশা প্রবণতা মানুষের ফুসফুসের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয় তাই জীবনের সুখের ও উজ্জ্বল দিনগুলোর কথা স্মরণ করুন। এতে আপনার নৈরাশ্য কেটে যাবে ফুসফুস বেশি বেশি কার্যকর ও সচল থাকবে। ব্রিটেনে আড়াই হাজার লোকের ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে যারা আপেল খেতে পছন্দ করেন তাদের ফুসফুস খুব দুর্বল থাকে বরং তাদের তুলনায় আপেল ঘোড়া ফুসফুস বেশি কার্যকর।

৬. বায়ু দূষণ থেকে দূরে থাকুন- ধূমপানের মতন দূষিত বায়ু ফুসফুসের জন্য ক্ষতিকারক। কলকারখানায় ব্যবহৃত বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ যানবাহনের ধোঁয়া এর জন্য দায়ী। তাই বায়ু দূষণ হয় এমন বাণিজ্যিক এলাকায় থাকবেন না। সুস্থ থাকতে সাইকেল চালানো অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।

৭. ঘরে গাছ রাখুন- বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে ঘরের গাছ থাকলে বায়ু পরিশোধিত হয়। ঘরে ঘরে 100 স্কয়ার ফুটের মধ্যে দুটি গাছ রাখুন হতে পারে 10 থেকে 12 ইঞ্চ এর মধ্যে কোন গাছ গুলো ঘরে রাখা উপযোগী ঘরে রাখার জন্য ভালো হলো ফান, স্পাইডার প্লান্ট, পিস লিলি, ব্যাম্বো প্ল্যাম, অ্যালোভেরা ইত্যাদি গাছগুলো এছাড়া ঘরের মধ্যে মশা তাড়ানোর জন্য কোন স্প্রে ব্যবহার করবেন না ঘরে যেন পর্যাপ্ত আলো-বাতাস ঝকে সে ব্যবস্থা করুন।

৮. স্বাস্থ্যকর খাবার খান- ফুসফুসকে ভালো রাখতে  এন্টি অক্সিডেন্ট জাতীয় খাবার খান।  রসুন পেঁয়াজ আদা হলুদ আপেল ইত্যাদি খাদ্য তালিকায় রাখুন। ফুসফুসে পেশীকে ভালো রাখতে দুধ পনির মাছ বাদাম এসব খাবার খাদ্যতালিকায় রাখুন। পাশাপাশি চিনিজাতীয় খাবার কার্বোহাইড্রেট কেক সফট ড্রিংকস খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিন এতে কেবল ফুসফুসে নয় সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

৯. নিয়মিত ব্যায়াম করুন- ফুসফুসে ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে ব্যায়াম একটি অন্যতম উপায়। নিয়মিত ব্যায়াম করলে হৃৎপিণ্ডও পেশিতে অক্সিজেন পরিবহন করতে সুবিধা হয়। এতে মেজাজ হৃদপিণ্ড দুটোই ভালো থাকে। ফুসফুস ভালো রাখতে প্রতিদিন অন্তত 30 মিনিট হাঁটুন।