+91 98304-64566 atnmediicaree@gmail.com

চিকিৎসার ক্ষেত্রে যেসব ঔষধি গাছ প্রাচীনকাল থেকে  ব্যবহার হয়ে এসেছে তার মধ্যে পাথরকুচি অন্যতম। এটি দেড় থেকে দুই ফুট উঁচু হয়। পাতা মাংসল ও মসৃণ, আকৃতি অনেকটা ডিমের মতন। চারপাশে আছে ছোট ছোট গোল কাজ এবং এই খাত থেকে নতুন চারা জন্ম হয়। অনেক সময় গাছের বয়স হলে ওই গাছের খাট থেকে চারা গজায়। পাথরকুচি পাতা মাটিতে ফেলে রাখলেই অনারসের চারা পাওয়া যায়। কাকুর মাটিতে সহজে জন্মায় তবে ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় দ্রুত বাড়ে।

গ্রামীণ চিকিৎসার মধ্যে এটি অন্যতম উপকারী চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, পাথরকুচি পাতা কিডনি রোগ সহ বিভিন্ন রোগে বিশেষ উপকার আসে। তবে আর দেরি না করে চলুন জেনে নিই পাথরকুচি পাতার ঔষধি গুণাবলী।

১. কিডনি পাথর অপসারণ-

পাথরকুচি পাতা কিডনি এবং গলগন্ডের পাথর অপসারণ করতে সাহায্য করে। দিনে দুবার ২ থেকে ৩ তিনটি পাতা চিবিয়ে অথবা রস করে খান।

২. পেট ফাঁপা-

অনেক সময় দেখা যায় পেটটা ফুলে গেছে প্রস্রাবে আটকে আছে। সেই ক্ষেত্রে একটু চিনি সাথে এক বা দুই চা-চামচ পাথরকুচি পাতার রস গরম করে সিকি কাপ জলের সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। এর দ্বারা মূত্র তরল হবে, আধু বায়ুর নিঃসরণ হবে ফাটাও কমে যাবে।

৩. মেহ-

সর্দি জনিত কারণে শরীরের নানান স্থানে ফোড়া দেখা দেয়। যাকে মেহ বলা হয়। এক্ষেত্রে পাথরকুচির পাতার রস এক-চামচ করে সকাল-বিকাল এক সপ্তাহের খেলে উপকার পাওয়া যায়।

৪. রক্তপিত্ত- পিকচার জনিত ব্যথার রক্তক্ষরণ হলে দুবেলা এক চা-চামচ পাথরকুচি পাতার রস খাওয়ালি সেরে যাবে।

৫. মৃগী-  রোগ আক্রান্ত সময় পাথরকুচি পাতার রস ২-১০ ফোঁটা করে মুখে দিতে হবে একটু পেটে গেলে রোগের উপশম হবে

৬. সর্দি- পাথরকুচি পাতার রস করে সেটাকে একটু গরম  করে সকালে বিকালে খেলে সর্দি কাশি এগুলো কমে যাবে।