+91 98304-64566 atnmediicaree@gmail.com

রাতারাতি পরিবর্তন কে না চায় বলুন? তাও যদি সেটা নিজের সৌন্দর্য হয়, তাহলে তো কথাই নেই।কিন্তু আমাদের ব্যস্তজীবনে ত্বকের পরিচর্যার সময়ই তো হয়ে ওঠেনা। ঠিক এই জায়গায় নাইট ফেস মাস্ককের মাহাত্ম। যেটা আপনি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে লাগিয়ে নিয়ে নিশ্চিন্তে আরাম করবেন। 

নাইট ফেস মাস্ক এর সুবিধে

  • এটি রাসায়নিকমুক্ত তাই বাজারচলতি প্রোডাক্টের থেকে একদম আলাদা। প্রাকৃতিক উপায়ে আপনার ত্বকের যৌবন ধরে রাখতে পারবেন।
  • নিজেই বানাতে পারবেন আপনার নাইট ক্রিম এর সাপ্লিমেন্ট হিসেবেও কাজ করবে।
  • রাতে এপিডার্মাল সেল স্কিন রিপেয়ার এর কাজ করে তাই সেই প্রক্রিয়াকে কার্যকরী করবে এই ফেস মাস্ক। পাশাপাশি পুষ্টি ও হাইড্রেসান ও দেবে। শুষ্ক ত্বক নরম করবে।

নাইট ফেস মাস্ক বাড়িতে বানান-

১। কোকোনাট অয়েল ফেস মাস্ক-

শুষ্ক ত্বকের জন্য কোকোনাট অয়েল খুবই ভালো ভাবে কাজ করে। ট্রান্সপিডেরমাল ক্ষরণ বন্ধ করে ও প্রদাহজনিত ট্যানিং এর মাত্রা নির্দিষ্ট করে।

  • ১টেবিল চামচ ভার্জিন নারকেল তেল বা ফ্রোজেন কোকোনাট অয়েল নিয়ে আপনার পছন্দ মতো ক্রিমের সাথে মেশান।
  • এবার ওটা আস্তে আস্তে স্কিন এর উপর লাগান ও রাতভর ছেড়ে দিন ও সকালে ধুয়ে ফেলুন।
  • সপ্তাহে তিনদিন একদিন অন্তর একদিন এটি ব্যবহার করুন।

২। ওয়াটারমেলন স্লিপিং মাস্কঃ-

তরমুজ এমনিতেই খুব রিফ্রেশিং ও এর মধ্যে একটা তরতাজা করার ব্যাপার আছে। এতে থাকা লাইকোপিন স্কিন ড্যামেজ প্রতিরোধ করে ও হার্মফুল রেডিক্যাল থেকে মুক্তি দেয়।

  • গ্রেটেড এককাপ তরমুজ নিয়ে সেগুলোকে কিউব শেপে কাটুন।
  • তারপর সেটা থেকে জুস বার করুন এবং সেটা তুলো দিয়ে ফেসে ভালো করে সর্বত্র লাগান।
  • রাতে ঘুমানোর আগে শুকিয়ে নিন। তারপর জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নাইট ক্রিম লাগিয়ে নিন।
  • এটি চাইলে রোজ ব্যবহার করতে পারেন। না হলে সপ্তাহে তিনদিন।

৩। হলুদ ও দুধের মাস্কঃ-

হলদি দুধের আয়ুর্বেদিক উপকারিতা আমরা সবাই জানি। এটি মাইক্রোবিয়াল এবং এন্টি অক্সিডেন্ট এ পরিপূর্ণ। ফটোএজিং ও এলোপেশিয়া ও ভালো করে। দুধে উপস্থিত ল্যাকটিক এসিড ও কেসিনোজেন স্কিন টেক্সচার ও দৃঢ়তা বাড়িয়ে দেয়।

  • হাফ চামচ হলুদ ও পুরো ১চামচ কাঁচা দুধ নিয়ে ভালো করে ডেন্সিটি অনুযায়ী মিক্স করুন।
  • তারপর কটন প্যাড দিয়ে স্কিন এর উপর প্রয়োগ করুন।
  • তবে শোয়ার সময় পুরোনো বালিশ ব্যবহার করবেন নাহলে হলুদ এর দাগ লেগে যেতে পারে।
  • সকালে উঠে ভালো করে মুখ ধুয়ে নেবেন। রোজ না হলে সপ্তাহে তিনদিন এটি ব্যবহার করুন।

৪। শসার ফেস মাস্কঃ-

শসা খুবই উত্তম খাদ্য কেবল আপনার দেহের জন্যই নয় বরং আপনার স্কিনের জন্যও। শসার রস ত্বকের হাইড্রেসন করে ও ক্ষতিকর টক্সিন ধ্বংস করতে সাহায্য করে। সূর্যের রশ্মির ফলে ট্যান ও রিঙ্কেল আটকাতেও এর জুড়ি মেলা ভার।

  • অর্ধেক শসা নিয়ে তার নির্যাস সমেত রস বের করুন।
  • এবার সেটা তুলো দিয়ে নিজের মুখে ও ঘাড়ে ভালো করে রাব করে নিন।
  • রাতের জন্য ছেড়ে দিন ও সকালে উঠে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  • সপ্তাহে রোজ চাইলে এটি ব্যবহার করতে পারেন।

৫। অলিভ অয়েল মাস্কঃ-

অলিভ অয়েল ফ্ল্যাভেনইড ও ফেনলিক এসিডে ভর্তি যা স্কিনের পুনর্গঠন ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।

  • কয়েকফোঁটা ভার্জিন অলিভ অয়েল নিন ও আপনার নাইট ক্রিম এর সাথে ভালো ভাবে মিশিয়ে একটা মিক্সচার তৈরি করুন।
  • তারপর সেটা মুখে ভালোভাবে মেসেজ করুন। রোজ ব্যবহার করুন টানা একমাস।

৬। অ্যালোভেরা ও ভিটামিন ই ফেস মাস্কঃ-

অ্যালোভেরাতে ভিটামিন এ, সি ও ই থাকে। এছাড়াও ১৮ এরও বেশি আমিনো এসিড ও স্যালিসাইসিক এসিড ও এনজাইম থাকে। কোলাজেন স্কিনে সংশ্লেষ ঘটায় ও সূর্যের ক্ষতিকারক ইউভি রে থেকে ত্বককে রক্ষা করে।

  • ভিটামিন ই এর ক্যাপসুল বাজার থেকে কিনে আনুন।
  • ক্যাপসুল থেকে স্কুইস করে তেল বার করুন এবং অ্যালোভেরা জেলের সাথে মিক্স করুন।
  • মিক্সচার তৈরি হলে মুখে লাগান ও প্যাচ টেস্ট করে নেবেন যদি আপনার স্কিন এলার্জি প্রবন হয়ে থাকে।
  • সপ্তাহে দুদিন করে এটি ব্যবহার করুন।