মূলত মৌলিক কিছু জীবনধারার পরিবর্তন ঘটিয়েই আপনি এই সমস্যার থেকে অনেকটা দূর থাকতে পারবেন। যদিও এই সমস্ত জীবনযাত্রার অভ্যাস খুব সামান্য প্রভাব ফেলে এই রোগের ওপর, তবুও নিজেকে যতটা সচেতন ভাবে সুরক্ষিত রাখা যায় সেই চেষ্টাই আমরা সবাই করে থাকি।
অনেকে মনে করেন বেশ কয়েকটি কারণে মহিলাদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারের সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু গবেষণা বলছে যে সব মহিলাদের মধ্যে ঝুঁকির কারণ থাকে না তাদের মধ্যেও আজকাল এই ক্যান্সারের লক্ষণ দেখা দেয়। এখন প্রশ্ন উঠছে তাহলে কীভাবে এই স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি থেকে নিজেকে সাবধানে রাখা যায়। মূলত মৌলিক কিছু জীবনধারার পরিবর্তন ঘটিয়েই আপনি এই সমস্যার থেকে অনেকটা দূর থাকতে পারবেন। যদিও এই সমস্ত জীবনযাত্রার অভ্যাস খুব সামান্য প্রভাব ফেলে এই রোগের ওপর, তবুও নিজেকে যতটা সচেতন ভাবে সুরক্ষিত রাখা যায় সেই চেষ্টাই আমরা সবাই করে থাকি।
সঠিক ওজন বজায় রাখুন
মেনোপজের পরে, মহিলাদের ফ্যাট টিস্যুতে ইস্ট্রোজেন উৎপাদন স্তন ক্যান্সারের একটি প্রধান কারণ। যে সব মহিলাদের ওজন বেশি তাদের মধ্যে ইস্ট্রোজেন-সংবেদনশীল স্তন ক্যান্সারের টিস্যুগুলি স্তন ক্যান্সারের টিস্যুর চেয়ে বেশি ইস্ট্রোজেনের সংস্পর্শে আসে। এটি স্তন ক্যান্সারের বৃদ্ধি এবং অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার সম্ভাবনা রয়েছে। ওবেসিটি ও ওজন বৃদ্ধি মহিলাদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারের অন্যতম কারণ, তাই এটিকে বজায় রাখুন।
নিয়মিত শরীরচর্চা করুন
নিয়মিত ৩০ মিনিট করে ব্যায়াম করুন। এতে আপনার শরীরের অনেক রোগই দূর হয়ে যাবে। তার সঙ্গে ওজনও সঠিক বজায় থাকবে। এমনকি যাঁরা ত্বক ক্যান্সারের হাত থেকে বেঁচে ফিরেছেন, বিশেষত যাঁরা কেমোথেরাপি এবং এন্ডোক্রাইন থেরাপি করিয়েছেন তাঁদের নিয়মিত শরীরচর্চা করা দরকার। কেমোথেরাপি এবং এন্ডোক্রাইন থেরাপিতে হাড়ের ক্ষয়ের সম্ভাবনা থাকে, নিয়মিত ব্যায়াম করে হাড় মজবুত ও শক্তিশালী হয়।
অ্যালকোহল পান করবেন না
স্তন ক্যান্সার হওয়ার অন্যতম ঝুঁকির কারণ অ্যালকোহল। যে সব মহিলারা অত্যধিক পরিমাণে অ্যালকোহল পান করেন তাদের দুটি স্তনেই ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পরে প্রতি সপ্তাহে তিন বা ততোধিক অ্যালকোহল পান করলে ক্যান্সারের পুনরায় ফিরে আসার সম্ভাবনা থাকে। এর সঙ্গে ধূমপান করা একদম ছেড়ে দিন। ধূমপান করলে ক্যান্সারের কোষ গুলি সক্রিয় হয়ে যায়।
সঠিক ডায়েট মেনে চলুন
প্রতিদিন কমপক্ষে পাঁচ থেকে আটটি ফল এবং শাকসবজি খান। উপরন্তু, যে সব খাদ্য গুলি ক্যান্সার প্রতিরোধক যেমন ব্রকোলি, বাঁধাকপি, কেল, তরমুজ ইত্যাদি খাবার বেশি করে খান। আরও ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড গ্রহণ করুন, যা আখরোট, মাছ, সয়াবিন এবং কুমড়োর বীজে পাওয়া যায়। পরিশোধিত শর্করা এবং ফ্যাট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন। তার সঙ্গে সমস্ত ভিটামিন যুক্ত খাদ্য গ্রহণ করুন, বিশেষত ভিটামিন ডি। ভিটামিন ডি এর জন্য নিয়মিত ১৫ মিনিট করে সূর্যালোকের নীচে দাঁড়ান।