+91 98304-64566 atnmediicaree@gmail.com

লম্বা ঘন চুল হলো মেয়েদের সৌন্দর্য্যের মূল রহস্য। ছোট চুল রাখাকে যত‌ই আজকাল ফ্যাশন বলা হোক না কেন, লম্বা ঘন চুলের কদর আজ ও রয়েছে ।তাই স্বাভাবিকভাবেই বেশিরভাগ মেয়েই চান লম্বা চুল।চুলকে ন্যাচারালভাবে লম্বা করার কতগুলি উপায়ের কথাই আজকে বলবো।

১. তেল মালিশ করুনঃ

চুলে নিয়মিত তেল মালিশ করলে চুলের গ্রোথ হয় দেখার মত।তাই স্বাস্থ্যজ্জ্বল সুন্দর চুল পেতে গেলে অতি অবশ্যই চুলে তেল মালিশ করুন।এক্ষেত্রে নারকেল তেল,অলিভ ওয়েল,আমন্ড ওয়েল যে কোনো তেল ই বেছে নিতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন -চুলে তেল মালিশ করার আগে উষ্ণ গরম করে নিলে বেশি ভালো ফল পাওয়া যায়।

২. ডিমঃ

চুলের বৃদ্ধি করতে ডিমের কুসুম অত্যন্ত কার্যকরী। এক কাপ দ‌ই আর ডিমের কুসুম ভালো করে মিশিয়ে নিন, তারপর এই প্যাকটি চুলে লাগিয়ে রাখুন। আধ ঘন্টা মত এই মিশ্রণটি চুলে রেখে ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে ফেলুন। এরপর শ্যাম্পু করে নিন।

৩. ওষুধঃ

অনেকসময় ওষুধের ব্যাড রিয়াকশনে ও চুল ঝরে যায়। তাই চুলকে গ্রোথ করাতে চাইলে সবার আগে দেখে নেবেন আপনার ওষুধের মধ্যে কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে কিনা।পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ওষুধ বদলে নেবেন।

৪. ঠান্ডা জলঃ

খুব ঠান্ডাতেও চুলে কখনোই গরম জল দেবেননা। ঠান্ডা জলেই সবসময় চুল ধোওয়া উচিত। গরম জলে চুল ধুলে চুল অতিরিক্ত পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

৫. ক্যাস্টর ওয়েলঃ

চুলের গ্রোথের জন্য ক্যাস্টর অয়েল খুব ভালো। এক্ষেত্রে নারকেল তেলের সঙ্গে ক্যাস্টর ওয়েল মিশিয়ে চুলে ম্যাসাজ করুন। চুলে দেওয়ার আগে ক্যাস্টর ওয়েল একটু গরম করে নিলে বেটার রেজাল্ট পাওয়া যাবে।

৬. অতিরিক্ত পরিমাণে ধূমপানঃ

অতিরিক্ত পরিমাণে ধূমপান করলে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।তাই সুন্দর চুল পেতে চাইলে ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করুন।

৭. ট্রিমঃ

চুল বাড়াতে চাইলে মাঝে মাঝে ই চুল ট্রিম করুন। কারণ চুল ট্রিম করলে চুলের বৃদ্ধি হয় খুব তাড়াতাড়ি।

৮. দুশ্চিন্তা মুক্ত হ‌ওয়ার চেষ্টা করুনঃ

অতিরিক্ত চিন্তার ফলে মানুষের চুল ঝরার মতো প্রবণতা দেখা যায়,তাই চুল বৃদ্ধি করতে চাইলে সবার আগে মানসিক চাপ থেকে মুক্ত হ‌ওয়ার চেষ্টা করুন।

৯. কেরাটিন বেসড শ্যাম্পুঃ

চুলের ন্যাচারাল গ্রোথ বৃদ্ধি করতে চাইলে সবসময় কেরাটিন বেসড শ্যাম্পু বেছে নেওয়া উচিত। কারণ কেরাটিন চুলের ডগা ফাটা রোধ করার পাশাপাশি চুলের বৃদ্ধিতে ও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।

১০. বালিশঃ

চুল বৃদ্ধির ক্ষেত্রে কী ধরনের বালিশ ব্যবহার করছেন সেটাও একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটানা সুতির অথবা রেয়নের ওয়াড় ব্যবহার করলে তা চুলের অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়। যার ফলস্বরুপ চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই সুতির পরিবর্তে সিল্কের ওয়াড় বালিশে পরান। ঘুমানোর আগে অবশ্যই চুল বেঁধে শোবেন।

১১. চুলে হিট নেওয়া যাবে নাঃ

বিভিন্ন রকম স্টাইল করবার জন্য চুলে অতিরিক্ত পরিমাণে হিট নেওয়ার থেকে বিরত থাকুন। এতে চুলের গোছা পাতলা হয়ে যায়।

১২. শ্যাম্পুর ক্ষেত্রে রাসায়নিক শ্যাম্পু এড়িয়ে চলুনঃ

অতিরিক্ত রাসায়নিক যুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করলে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই যদি চুলের বৃদ্ধি চান এবং চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয়ে উঠুক এটা চান, তাহলে অবশ্যই কেমিক্যাল মুক্ত ভেষজ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।

১৩. কন্ডিশনারঃ

শ্যাম্পু করার ক্ষেত্রে কন্ডিশনার করতে কখনো ভুলবেন না। এক্ষেত্রে ও রাসায়নিক মুক্ত প্রাকৃতিক কন্ডিশনার বেছে নিন।