+91 98304-64566 atnmediicaree@gmail.com

চুল যদি শাইন করে তাহলে কিচ্ছু স্টাইল না করেও দেখতে ভালো লাগে। কিন্তু কীভাবে চুলে সেই শাইন আনা যায়। আজ রইল তারই কিছু সহজ টিপস, যেগুলো নিয়মিত মেনে চললে উপকার পাবেন।  

ভালো করে চুল আঁচড়ানঃ- অনেকেই চুল ভালোভাবে আঁচড়ান না। এতে কিন্তু চুলের ক্ষতি হয়। তাই ভালোভাবে চুল আঁচড়ানো দরকার। দিনে দুই থেকে তিনবার চুল আঁচড়ানো দরকার। এতে স্কাল্পে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। যেটা চুলকে হেলদি ও চকচকে করে তোলে।

ওয়েল ট্রিটমেন্টঃ- আগেকার দিনে ঠাকুমা দিদিমারা চুলে নিয়মিত তেল মাখতেন। তাই তাদের চুলও বেশ সুন্দর ছিল। আজকাল অনেকেই চুলে তেল মাখতে চাননা। কিন্তু এটা মনে রাখা দরকার তেল চুলের খাদ্য। তাই তেল মাখা খুব দরকার। রোজ তেল মাখতে না পারলে, সপ্তাহে দুদিন তেল মাখুন। তেল কিন্তু চুলকে ময়েশ্চারাইজড, সফট ও চকচকে করে তোলে। তাই তেল মাখুন। নারকেল তেল বা বাদাম তেল মাখতে পারেন। এটা খুব ভালো।

শ্যাম্পু বদল করুনঃ- আপনি কি আপনার চুল অনুযায়ী সঠিক শ্যাম্পু ব্যবহার করছেন? ধরুন আপনার চুল ড্রাই আর আপনি ব্যবহার করছেন ওয়েল কন্ট্রোল শ্যাম্পু। তাহলে কিন্তু চুল আরও রাফ হয়ে যাবে। তাই চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু করুণ। এবং শ্যাম্পু বদল করে দেখুন।

গরম ও ঠাণ্ডা জলের ব্যবহারঃ- মাথায় যেমন শুধু গরমজল ব্যবহার করা ঠিক নয়, তেমনই শুধু ঠাণ্ডা জলও ব্যবহার করা ঠিক নয়। বেশী গরমজল যেমন চুলকে ড্রাই করে দিতে পারে, তেমনই ঠাণ্ডা জল আবার আঠালো করে দিতে পারে। তাই শ্যাম্পু করার সময়ে একদম অল্প গরম জল দিয়ে শ্যাম্পু করুণ। এবং শ্যাম্পু হয়ে গেলে তারপর ঠাণ্ডা জলে চুল ধুয়ে নিন। এর ফলে শ্যাম্পুর সময়ে স্ক্যাল্প খুব ভালোভাবে পরিষ্কার হয়। স্ক্যাল্পে জমে থাকা সব ময়লা,তেল পরিষ্কার হয়ে যায়। যেটা হেলদি চুলের একটা অন্যতম শর্ত।

রাতে চুলের যত্ন নিনঃ- আপনি কি চুল ঠিকমত না বেঁধেই ঘুমিয়ে পড়েন? এটা কিন্তু একদমই ঠিক নয়। কারণ বালিশে ক্রমাগত চুলের ঘষা লেগে চুলের ক্ষতি হয়। তাই ঘুমোতে যাবার আগে চুল বেঁধে নিন। একটা বিনুনি করে নিতে পারেন বা কোন কিছু দিয়ে মাথা ঢেকে শুতে পারেন। যাতে বালিশে  ঘষা না লাগে।

হেয়ার ডাই ব্যবহার করুণ বুঝেঃ- কমদামী হেয়ার ডাই প্রোডাক্টে অ্যামোনিয়া থাকে। যাতে চুল খুব ড্রাই হয়ে যায় এবং চুলের আসল রঙটাই নষ্ট হয়ে যায়। চুল ফেটে যায়। তাই হেয়ার কালার করতেই হলে, ভালো কোন অ্যামোনিয়া ফ্রী হেয়ার কালার ব্যবহার করুণ।

খুব বেশী হেয়ার স্টাইলিং না করাই ভালোঃ- চুল কখনো কার্লি বা কখনো ব্লো ড্রাই আরও বিভিন্ন স্টাইল আমরা করে থাকি। এই বিভিন্ন ধরণের স্টাইল করার সময়ে বিভিন্ন ধরণের প্রোডাক্ট, মেশিন ব্যবহার করা হয়। এবং বেশ অনেকটাই তাপে এই ধরণের স্টাইল করা হয়। কিন্তু এই অতিরিক্ত তাপ চুলের জন্য একদমই ভালো নয়। চুল ড্রাই তো হয় সাথে চুলের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যায়। চুল হয়ে পড়ে প্রাণহীন।

বেশী করে জল খানঃ- পরিমিত জলের অভাবে শরীরে যেমন ডিহাইড্রেশন হয়। তেমনই চুলও ড্রাই হয়ে যায়। তাই শরীরে জলের পরিমাণ ঠিক থাকলে স্ক্যাল্পও হাইড্রেটেড থাকে। চুলও থাকে হেলদি।

স্পেশাল হেয়ার মাস্ক চুলকে সাইনি করার জন্য

ডিমের মাস্ক

উপকরনঃ

  • ১টি বা দুটি ডিম। এটা আপনার চুল লম্বা কতটা তার ওপর নির্ভর করছে।

কীভাবে ব্যবহার করবেনঃ

  • ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে দিন।
  • এবার ডিমের সাদা অংশ ফেটিয়ে নিন।
  • চুলকে দুভাগে ভাগ করে নিন। এবার ভালো করে পুরো চুলে লাগান।
  • এবার চুল শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে ঢেকে রাখুন।
  • মিনিট কুড়ি রেখে দিন।
  • তারপর কোন মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।
  • শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার।

নারকেল তেলও বেশ উপকারী

উপকরনঃ

  • ২ থেকে টিন চামচ নারকেল তেল। এটাও আপনার চুল লম্বা কতটা তার ওপর নির্ভর করছে।

কীভাবে ব্যবহার করবেনঃ

  • চুলকে দুভাগে ভাগ করে নিন।
  • নারকেল তেলকে হালকা গরম করে নিতে পারেন বা দুই হাত ঘষে নিন। এতেও কিছুটা গরম থাকবে।
  • এবার স্ক্যাল্প সহ পুরো চুলে তেল লাগান। হালকা হাতে ম্যাসেজ করুণ।
  • ২ থেকে ৫ মিনিট হালকা হাতে ম্যাসেজ করুণ।
  • এবার এটা অন্তত তিনঘণ্টা রেখে দিন। সারারাত রাখলে আরও ভালো।
  • তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন হালকা গরম জলে।
  • শ্যাম্পুর পর অবশ্যই কন্ডিশনার।

মেয়নিজের ম্যাজিক

উপকরণঃ

  • ২ থেকে ৫ চামচ মেয়নিজ

কীভাবে ব্যবহার করবেনঃ

  • চুলকে দুভাগে ভাগ করে নিন।
  • এবার মেয়নিজ চুলে লাগান। স্ক্যাল্পে নয়।
  • একটা শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন।
  • আধঘণ্টা রেখে দিন।
  • তারপর শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার।

ব্যবহার করতে পারেন ঘি

উপকরণঃ

  • ৩ থেকে ৪ চামচ ঘি

কীভাবে ব্যবহার করবেনঃ

  • বাজারের যেকোনো তেলের থেকে নারকেল তেল চুলের জন্য অনেক ভালো। তাই নারকেল তেল ব্যবহার করে সারারাত রেখে দিন।
  • মাসে একবার হেয়ার স্পা করতে পারেন। এটা চুলের জন্য ভীষণ ভালো একটা ট্রিটমেন্ট। বাড়িতেই করে নিতে পারেন হেয়ার স্পা।
  • চুল খোলা রেখে না ঘুমনোই ভালো। সবসময় একটা বিনুনি করে ঘুমোতে যান।

ভালো করে চুল আঁচড়ানঃ- অনেকেই চুল ভালোভাবে আঁচড়ান না। এতে কিন্তু চুলের ক্ষতি হয়। তাই ভালোভাবে চুল আঁচড়ানো দরকার। দিনে দুই থেকে তিনবার চুল আঁচড়ানো দরকার। এতে স্কাল্পে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। যেটা চুলকে হেলদি ও চকচকে করে তোলে।

ওয়েল ট্রিটমেন্টঃ- আগেকার দিনে ঠাকুমা দিদিমারা চুলে নিয়মিত তেল মাখতেন। তাই তাদের চুলও বেশ সুন্দর ছিল। আজকাল অনেকেই চুলে তেল মাখতে চাননা। কিন্তু এটা মনে রাখা দরকার তেল চুলের খাদ্য। তাই তেল মাখা খুব দরকার। রোজ তেল মাখতে না পারলে, সপ্তাহে দুদিন তেল মাখুন। তেল কিন্তু চুলকে ময়েশ্চারাইজড, সফট ও চকচকে করে তোলে। তাই তেল মাখুন। নারকেল তেল বা বাদাম তেল মাখতে পারেন। এটা খুব ভালো।

শ্যাম্পু বদল করুনঃ- আপনি কি আপনার চুল অনুযায়ী সঠিক শ্যাম্পু ব্যবহার করছেন? ধরুন আপনার চুল ড্রাই আর আপনি ব্যবহার করছেন ওয়েল কন্ট্রোল শ্যাম্পু। তাহলে কিন্তু চুল আরও রাফ হয়ে যাবে। তাই চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু করুণ। এবং শ্যাম্পু বদল করে দেখুন।

গরম ও ঠাণ্ডা জলের ব্যবহারঃ- মাথায় যেমন শুধু গরমজল ব্যবহার করা ঠিক নয়, তেমনই শুধু ঠাণ্ডা জলও ব্যবহার করা ঠিক নয়। বেশী গরমজল যেমন চুলকে ড্রাই করে দিতে পারে, তেমনই ঠাণ্ডা জল আবার আঠালো করে দিতে পারে। তাই শ্যাম্পু করার সময়ে একদম অল্প গরম জল দিয়ে শ্যাম্পু করুণ। এবং শ্যাম্পু হয়ে গেলে তারপর ঠাণ্ডা জলে চুল ধুয়ে নিন। এর ফলে শ্যাম্পুর সময়ে স্ক্যাল্প খুব ভালোভাবে পরিষ্কার হয়। স্ক্যাল্পে জমে থাকা সব ময়লা,তেল পরিষ্কার হয়ে যায়। যেটা হেলদি চুলের একটা অন্যতম শর্ত।

রাতে চুলের যত্ন নিনঃ- আপনি কি চুল ঠিকমত না বেঁধেই ঘুমিয়ে পড়েন? এটা কিন্তু একদমই ঠিক নয়। কারণ বালিশে ক্রমাগত চুলের ঘষা লেগে চুলের ক্ষতি হয়। তাই ঘুমোতে যাবার আগে চুল বেঁধে নিন। একটা বিনুনি করে নিতে পারেন বা কোন কিছু দিয়ে মাথা ঢেকে শুতে পারেন। যাতে বালিশে  ঘষা না লাগে।

হেয়ার ডাই ব্যবহার করুণ বুঝেঃ- কমদামী হেয়ার ডাই প্রোডাক্টে অ্যামোনিয়া থাকে। যাতে চুল খুব ড্রাই হয়ে যায় এবং চুলের আসল রঙটাই নষ্ট হয়ে যায়। চুল ফেটে যায়। তাই হেয়ার কালার করতেই হলে, ভালো কোন অ্যামোনিয়া ফ্রী হেয়ার কালার ব্যবহার করুণ।

খুব বেশী হেয়ার স্টাইলিং না করাই ভালোঃ- চুল কখনো কার্লি বা কখনো ব্লো ড্রাই আরও বিভিন্ন স্টাইল আমরা করে থাকি। এই বিভিন্ন ধরণের স্টাইল করার সময়ে বিভিন্ন ধরণের প্রোডাক্ট, মেশিন ব্যবহার করা হয়। এবং বেশ অনেকটাই তাপে এই ধরণের স্টাইল করা হয়। কিন্তু এই অতিরিক্ত তাপ চুলের জন্য একদমই ভালো নয়। চুল ড্রাই তো হয় সাথে চুলের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যায়। চুল হয়ে পড়ে প্রাণহীন।

বেশী করে জল খানঃ- পরিমিত জলের অভাবে শরীরে যেমন ডিহাইড্রেশন হয়। তেমনই চুলও ড্রাই হয়ে যায়। তাই শরীরে জলের পরিমাণ ঠিক থাকলে স্ক্যাল্পও হাইড্রেটেড থাকে। চুলও থাকে হেলদি।

স্পেশাল হেয়ার মাস্ক চুলকে সাইনি করার জন্য

ডিমের মাস্ক

উপকরনঃ

  • ১টি বা দুটি ডিম। এটা আপনার চুল লম্বা কতটা তার ওপর নির্ভর করছে।

কীভাবে ব্যবহার করবেনঃ

  • ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে দিন।
  • এবার ডিমের সাদা অংশ ফেটিয়ে নিন।
  • চুলকে দুভাগে ভাগ করে নিন। এবার ভালো করে পুরো চুলে লাগান।
  • এবার চুল শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে ঢেকে রাখুন।
  • মিনিট কুড়ি রেখে দিন।
  • তারপর কোন মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।
  • শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার।

নারকেল তেলও বেশ উপকারী

উপকরনঃ

  • ২ থেকে টিন চামচ নারকেল তেল। এটাও আপনার চুল লম্বা কতটা তার ওপর নির্ভর করছে।

কীভাবে ব্যবহার করবেনঃ

  • চুলকে দুভাগে ভাগ করে নিন।
  • নারকেল তেলকে হালকা গরম করে নিতে পারেন বা দুই হাত ঘষে নিন। এতেও কিছুটা গরম থাকবে।
  • এবার স্ক্যাল্প সহ পুরো চুলে তেল লাগান। হালকা হাতে ম্যাসেজ করুণ।
  • ২ থেকে ৫ মিনিট হালকা হাতে ম্যাসেজ করুণ।
  • এবার এটা অন্তত তিনঘণ্টা রেখে দিন। সারারাত রাখলে আরও ভালো।
  • তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন হালকা গরম জলে।
  • শ্যাম্পুর পর অবশ্যই কন্ডিশনার।

মেয়নিজের ম্যাজিক

উপকরণঃ

  • ২ থেকে ৫ চামচ মেয়নিজ

কীভাবে ব্যবহার করবেনঃ

  • চুলকে দুভাগে ভাগ করে নিন।
  • এবার মেয়নিজ চুলে লাগান। স্ক্যাল্পে নয়।
  • একটা শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন।
  • আধঘণ্টা রেখে দিন।
  • তারপর শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার।

ব্যবহার করতে পারেন ঘি

উপকরণঃ

  • ৩ থেকে ৪ চামচ ঘি

কীভাবে ব্যবহার করবেনঃ

  • বাজারের যেকোনো তেলের থেকে নারকেল তেল চুলের জন্য অনেক ভালো। তাই নারকেল তেল ব্যবহার করে সারারাত রেখে দিন।
  • মাসে একবার হেয়ার স্পা করতে পারেন। এটা চুলের জন্য ভীষণ ভালো একটা ট্রিটমেন্ট। বাড়িতেই করে নিতে পারেন হেয়ার স্পা।
  • চুল খোলা রেখে না ঘুমনোই ভালো। সবসময় একটা বিনুনি করে ঘুমোতে যান।

চুল যদি শাইন করে তাহলে কিচ্ছু স্টাইল না করেও দেখতে ভালো লাগে। কিন্তু কীভাবে চুলে সেই শাইন আনা যায়। আজ রইল তারই কিছু সহজ টিপস, যেগুলো নিয়মিত মেনে চললে উপকার পাবেন।  

ভালো করে চুল আঁচড়ানঃ- অনেকেই চুল ভালোভাবে আঁচড়ান না। এতে কিন্তু চুলের ক্ষতি হয়। তাই ভালোভাবে চুল আঁচড়ানো দরকার। দিনে দুই থেকে তিনবার চুল আঁচড়ানো দরকার। এতে স্কাল্পে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। যেটা চুলকে হেলদি ও চকচকে করে তোলে।

ওয়েল ট্রিটমেন্টঃ- আগেকার দিনে ঠাকুমা দিদিমারা চুলে নিয়মিত তেল মাখতেন। তাই তাদের চুলও বেশ সুন্দর ছিল। আজকাল অনেকেই চুলে তেল মাখতে চাননা। কিন্তু এটা মনে রাখা দরকার তেল চুলের খাদ্য। তাই তেল মাখা খুব দরকার। রোজ তেল মাখতে না পারলে, সপ্তাহে দুদিন তেল মাখুন। তেল কিন্তু চুলকে ময়েশ্চারাইজড, সফট ও চকচকে করে তোলে। তাই তেল মাখুন। নারকেল তেল বা বাদাম তেল মাখতে পারেন। এটা খুব ভালো।
শ্যাম্পু বদল করুনঃ- আপনি কি আপনার চুল অনুযায়ী সঠিক শ্যাম্পু ব্যবহার করছেন? ধরুন আপনার চুল ড্রাই আর আপনি ব্যবহার করছেন ওয়েল কন্ট্রোল শ্যাম্পু। তাহলে কিন্তু চুল আরও রাফ হয়ে যাবে। তাই চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু করুণ। এবং শ্যাম্পু বদল করে দেখুন।
গরম ও ঠাণ্ডা জলের ব্যবহারঃ- মাথায় যেমন শুধু গরমজল ব্যবহার করা ঠিক নয়, তেমনই শুধু ঠাণ্ডা জলও ব্যবহার করা ঠিক নয়। বেশী গরমজল যেমন চুলকে ড্রাই করে দিতে পারে, তেমনই ঠাণ্ডা জল আবার আঠালো করে দিতে পারে। তাই শ্যাম্পু করার সময়ে একদম অল্প গরম জল দিয়ে শ্যাম্পু করুণ। এবং শ্যাম্পু হয়ে গেলে তারপর ঠাণ্ডা জলে চুল ধুয়ে নিন। এর ফলে শ্যাম্পুর সময়ে স্ক্যাল্প খুব ভালোভাবে পরিষ্কার হয়। স্ক্যাল্পে জমে থাকা সব ময়লা,তেল পরিষ্কার হয়ে যায়। যেটা হেলদি চুলের একটা অন্যতম শর্ত।
রাতে চুলের যত্ন নিনঃ- আপনি কি চুল ঠিকমত না বেঁধেই ঘুমিয়ে পড়েন? এটা কিন্তু একদমই ঠিক নয়। কারণ বালিশে ক্রমাগত চুলের ঘষা লেগে চুলের ক্ষতি হয়। তাই ঘুমোতে যাবার আগে চুল বেঁধে নিন। একটা বিনুনি করে নিতে পারেন বা কোন কিছু দিয়ে মাথা ঢেকে শুতে পারেন। যাতে বালিশে  ঘষা না লাগে।
হেয়ার ডাই ব্যবহার করুণ বুঝেঃ- কমদামী হেয়ার ডাই প্রোডাক্টে অ্যামোনিয়া থাকে। যাতে চুল খুব ড্রাই হয়ে যায় এবং চুলের আসল রঙটাই নষ্ট হয়ে যায়। চুল ফেটে যায়। তাই হেয়ার কালার করতেই হলে, ভালো কোন অ্যামোনিয়া ফ্রী হেয়ার কালার ব্যবহার করুণ।
খুব বেশী হেয়ার স্টাইলিং না করাই ভালোঃ- চুল কখনো কার্লি বা কখনো ব্লো ড্রাই আরও বিভিন্ন স্টাইল আমরা করে থাকি। এই বিভিন্ন ধরণের স্টাইল করার সময়ে বিভিন্ন ধরণের প্রোডাক্ট, মেশিন ব্যবহার করা হয়। এবং বেশ অনেকটাই তাপে এই ধরণের স্টাইল করা হয়। কিন্তু এই অতিরিক্ত তাপ চুলের জন্য একদমই ভালো নয়। চুল ড্রাই তো হয় সাথে চুলের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যায়। চুল হয়ে পড়ে প্রাণহীন।
বেশী করে জল খানঃ- পরিমিত জলের অভাবে শরীরে যেমন ডিহাইড্রেশন হয়। তেমনই চুলও ড্রাই হয়ে যায়। তাই শরীরে জলের পরিমাণ ঠিক থাকলে স্ক্যাল্পও হাইড্রেটেড থাকে। চুলও থাকে হেলদি।
স্পেশাল হেয়ার মাস্ক চুলকে সাইনি করার জন্য

ডিমের মাস্ক

উপকরনঃ

  • ১টি বা দুটি ডিম। এটা আপনার চুল লম্বা কতটা তার ওপর নির্ভর করছে।

কীভাবে ব্যবহার করবেনঃ

  • ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে দিন।
  • এবার ডিমের সাদা অংশ ফেটিয়ে নিন।
  • চুলকে দুভাগে ভাগ করে নিন। এবার ভালো করে পুরো চুলে লাগান।
  • এবার চুল শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে ঢেকে রাখুন।
  • মিনিট কুড়ি রেখে দিন।
  • তারপর কোন মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।
  • শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার।

নারকেল তেলও বেশ উপকারী

উপকরনঃ

  • ২ থেকে টিন চামচ নারকেল তেল। এটাও আপনার চুল লম্বা কতটা তার ওপর নির্ভর করছে।

কীভাবে ব্যবহার করবেনঃ

  • চুলকে দুভাগে ভাগ করে নিন।
  • নারকেল তেলকে হালকা গরম করে নিতে পারেন বা দুই হাত ঘষে নিন। এতেও কিছুটা গরম থাকবে।
  • এবার স্ক্যাল্প সহ পুরো চুলে তেল লাগান। হালকা হাতে ম্যাসেজ করুণ।
  • ২ থেকে ৫ মিনিট হালকা হাতে ম্যাসেজ করুণ।
  • এবার এটা অন্তত তিনঘণ্টা রেখে দিন। সারারাত রাখলে আরও ভালো।
  • তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন হালকা গরম জলে।
  • শ্যাম্পুর পর অবশ্যই কন্ডিশনার।

মেয়নিজের ম্যাজিক

উপকরণঃ

  • ২ থেকে ৫ চামচ মেয়নিজ

কীভাবে ব্যবহার করবেনঃ

  • চুলকে দুভাগে ভাগ করে নিন।
  • এবার মেয়নিজ চুলে লাগান। স্ক্যাল্পে নয়।
  • একটা শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে মাথা ঢেকে রাখুন।
  • আধঘণ্টা রেখে দিন।
  • তারপর শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার।

ব্যবহার করতে পারেন ঘি

উপকরণঃ

  • ৩ থেকে ৪ চামচ ঘি

কীভাবে ব্যবহার করবেনঃ

  • বাজারের যেকোনো তেলের থেকে নারকেল তেল চুলের জন্য অনেক ভালো। তাই নারকেল তেল ব্যবহার করে সারারাত রেখে দিন।
  • মাসে একবার হেয়ার স্পা করতে পারেন। এটা চুলের জন্য ভীষণ ভালো একটা ট্রিটমেন্ট। বাড়িতেই করে নিতে পারেন হেয়ার স্পা।
  • চুল খোলা রেখে না ঘুমনোই ভালো। সবসময় একটা বিনুনি করে ঘুমোতে যান।