+91 98304-64566 atnmediicaree@gmail.com

করোনাভাইরাসে দৌলতে কিছু ভাল দিক যেমন অভ্যাস মানুষের মধ্যে তৈরি হয়েছে, তেমনি বাজে কিছুও দেখা গিয়েছে। বর্তমানে মানসিক চাপের কারণ মানুষের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে গিয়েছে। ছোট সংকট থেকে বড় চ্যালেঞ্জ, স্ট্রেস আমাদের জীবনের এক একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাজের চাপ, সমবয়সীদের মধ্যে চাপ, সময়সীমার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা, এই সমস্ত জিনিসগুলি একজন ব্য়ক্তিকে এতটা চাপ তৈরি করে ফেলছে, তাতে জীবন একেবারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। বাইরে বা তৃতীয় ব্যক্তির কাছে নিজের সমস্যার সমাধানের আগে বাড়িতেই কীভাবে এই চাপ কমানো যায়? কীভাবে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ মোকাবিলা করবেন? মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে ও সুখী জীবনযাপন করতে রইল কিছু সহজ টিপস….

মানসিক চাপ মোকাবিলা করার প্রধান চ্যালেঞ্জ হল আপনার মনকে শান্ত করা ও নেচিবাচক চিন্তাগুলোকে ইতিবাচক করে তোলা। কীভাবে চাপ কমানো যায়, তার সম্পর্কে কিছু টিপস দেওয়া রইল এখানে

ক্যাফেইন, অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন

আপনি যদি সত্যিই মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে চান তাহলে ক্যাফেইন ও অ্যালকোহলের ব্যবহার সীমিত রাখার চেষ্টা করুন। ক্যাফেইন মানসিক চাপ কমানোর পরিবর্তে বাড়িয়ে দেয়। অ্যালকোহল বেশি বেশি পরিমাণে গ্রহণ করলে বিষন্নতা গ্রাস করে। জল বা তাজা ফলের রস দিয়ে অ্যালকোহল ও ক্যাফেইনের বিকল্প করার চেষ্টা করুন।

গভীর ঘুম

মানসিক শান্তির জন্য গভীর ঘুমের প্রয়োজনীয়তা অনবদ্য। বর্তমানে কাজের চাপের কারণ মানুষ টিকমতো ঘুমায় না। ফলে মানসিক চাপ দিন দিন বাড়তে থাকে। কাজ করা ও সঠিকভাবে না ঘুমানোর এই চক্র সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে যায়। তাই মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকতে রাতে ৮ ঘণ্টা গভীর ঘুমের প্রয়োজন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে একঘণ্টা আগে টিভি ও মোবাইল বন্ধ করে দিন।

সামাজিকতা বজায় রাখুন

বর্তমানে মানুষ একে অপরের থেকে অনেক বিচ্ছিন্ন। কাজের জগতের সঙ্গে এতটাই জড়িত যে তাঁদের কাছে সামাজিক দায়বদ্ধতা থাকার সময় নেই। একাকীত্ব মানুষের মানসিক চাপ বাড়িয়ে দেয়। কথা বলার লোক নেই, হাসার সঙ্গী নেই। সামাজিক হওয়ার যত চেষ্টা করবেন তত মন ভাল থাকবে, চাপ অনুভব কম হবে। কাজের মধ্যে থাকলেও মা-বাবা, ভাই-বোন কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে ফোনে বা ভিডিয়ো কলে কথা বলুন।

স্ট্রেস ডায়েরি বজায় রাখুন

অনেকসময় কাছের তেমন কাউকে পাওয়া যায় না যে কারোর সঙ্গে নিজের অনুভতি শেয়ার করা যায়। কিন্তু না বলতে পেরে মনে মনে বিরক্ত বোধ করছেন। এই ধরনের স্ট্রেসকে পরিচালনা করার একটি সঠিক উপায় হল একটি ব্যক্তিগত ডায়েরিতে লিখে রাখা। মানসিক চাপ, উদ্বেগ দূর করতে সাহায্য করবে এটি। কাগজের উপর নিজের চিন্তাভাবনা ও অনুভূতি লিখলে মনে স্বস্তিবোধ করা যায়। ইতিবাচক চিন্তাভাবনায় মানসিক চাপ অনেকটা কমে যায়।

চুইং গাম

ভাবছেন কিভাবে দ্রুত দুশ্চিন্তা দূর করা যায়? মানসিক চাপে দ্রুত উপশমের জন্য চুইংগাম চিবানোর চেষ্টা করুন। গবেষণা করে দেখা গিয়েছে, যাঁরা গাম চিবিয়েছেন তাঁদের মানসিক চাপ তুলনামূলক অনেক কম। ভাল থাকার দুর্দান্ত একটি উপায় এটি। চুইং গাম মস্তিষ্কের তরঙ্গ শিথিল করে এবং এটি আপনার ত্বকে রক্ত ​​​​প্রবাহকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করে।

যতটা পারুন মন খুলে হাসুন

হাসি হল মনের সবচেয়ে ভাল ওষুধ। যখনই আপনি উদ্বিগ্ন বোধ করবেন, যতটা সম্ভব হাসতে চেষ্টা করুন আপনি হঠাৎ হালকা অনুভব করবেন। হাসি আপনার স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। চাপ থেকে মুক্তি দিতে এবং আপনার পেশীগুলিকে শিথিল করতে সহায়তা করে। আপনি হাসলে আপনার শরীর এন্ডোরফিন হরমোন নিঃসরণ করে মেজাজ ভাল রাখে এবং চাপ কমায়। মানসিক চাপ কমানোর অন্যতম কৌশল।