+91 98304-64566 atnmediicaree@gmail.com

শীতকাল মানেই সেলিব্রেশন। আর সেলিব্রেশন তো খাওয়া-দাওয়া ছাড়া সম্পূর্ণ হয় না। কিন্তু নিজের পেটেরর দিকে তাকালেই নিশ্চয় মন খারাপ হয়ে যায়। বাড়তে থাকা ওজন নিয়ে চিন্তার শেষ নেই। তারওপর একভাবে অফিসে বসে কাজ করা, নড়াচড়া করার সময় কোথায়? সেই কারণে আরও পেটে চেপে বসে অবাঞ্ছিত চর্বি।

তাই বলে কি শীতকালে ক্রিসমাস বা নিউ ইয়ার পার্টির পেট পুজো বৃথা যাবে? কখনওই নয়। এখনও হাতে প্রায় সময় আছে আপনি চাইলে এই সময়ের মধ্যেই কিছু সামান্য ডায়েট প্ল্যান আর এক্সাসাইজ করার পাশাপাশি যদি একটু-আধটু অনিয়ম করেন, তাহলেও কিন্তু বাড়বে না ওজন, বরং তা থাকবে আপনার নিয়ন্ত্রণে।

হেভি ব্রেকফাস্ট-

ডায়েট মেনে চলতে ব্রেকফাস্ট স্কিপ না করাই ভাল, বরং দুপুরে হাল্কা খাবার খেলেও ব্রেকফাস্ট কিন্তু ভারি হওয়া চাই। আর তার জন্য কী কী খাবেন দেখে নিন-

  • এক বাটি দুধ। অবাক হবেন না দুধ থেকে মাখন তুলে নিলে দুধের ক্যালোরির পরিমাণ অনেক কমে যায়, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
  • দুধের সঙ্গে মিশিয়ে নিন খানিকটা কর্নফ্লেক্স।
  • ডিমের সাদা অংশ ওজন কমাতে খুবই সাহায্য করেন, তবে ভুলেও কুসুমটি খাবেন না।
  • ওজন কমাতে চাইলে ডায়েটে ফল থাকা গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য যেকোনও ফল যেমন কমলালেবু, সবেদা, আপেল, পেয়ারা, স্ট্রবেরি, আঙুরের মতো মরশুমি ফল খান।
  • এইসব ফলে থাকা ভিটামিন সি এবং ফাইবার ওজন কমাতে সাহায্য করে।
  • সঙ্গে খান কয়েকটি কাঠবাদাম। যা শরীরের জন্য খুবই পুষ্টিকর।
  • রোজ এক গ্লাস ফলের জুস খাওয়া যেতে পারে। কমলালেবু, আপেল, কিউই বা স্ট্রবেরির জুস খান সম্ভব হলে।

ভাত খেয়েও কমানো যায় ওজন-

কথাতেই আছে মাছে-ভাতে বাঙালী। তাই ভাত ছাড়া দুপুরের খাওয়া অসম্পূর্ণ থেকে যায়। এমন মানসিকতার বাঙালী কিন্তু নেহাত কম নয়। তবে অনেকের এমন ধারণা রয়েছে যে ভাত খেলে হয়তো মোটা হয়ে যাবেন। কিন্তু এই ডায়েট যদি পরিমাণ মতো সপ্তাহে পাঁচ দিন খান তাহলে, সপ্তাহের বাকি দুদিন অনিয়ম করলেও ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে।

  • ছোট বাটির এক বাটি ভাত (তার বেশি বা কম নয়)।
  • ডাল এক বাটি। ডাল শরীরে মেদ জমার অন্তরায়, তাই ডায়েটে ডাল থাকা একান্ত আবশ্যক।
  • এক বাটি মরশুমি সবজি (ফুলকপি, বীট, গাজর, ক্যাপসিকাম-এর মতো সবজির তরকারি, তবে অবশ্যই তেল-মশলা কম)।
  • মাঝারি মাপের এক টুকরো মাছ অথবা মাংস (অবশ্যই মুরগির মাংস)
  • খাওয়া শেষে আপনার পছন্দ মতো যেকোনও একটি ফল।

রাতের খাবারে রুটির ডায়েট-

রাতে ভাতের চেয়ে রুটি খাওয়া পছন্দ করেন অনেকে। এমনকী বিশেষজ্ঞরাও বলেন যে, ভাত একবেলা খাওয়ায়ই ভাল। তার বদলে রাতে থাক রুটির ডায়েট। দেখে নিন কী কী খাবার খেতে পারেন রাত্রিবেলা।

  • ঘরে তৈরি আটার রুটি (২-৩টি)। ময়দার রুটি কখনওই খাবেন না।
  • দুপুরের মতোই তেল মশলা ছাড়া সবজি খান, মন চাইলে নুন আর গোলমরিচ দিয়ে সবজি সেদ্ধও খেতে পারেন।
  • যদি মনে হয় এক টুকরো চিকেন খেতে পারেন, তবে সেটা রোজ নয়।
  • চেষ্টা করবেন রাতের খাবার ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে খেয়ে নেওয়ার।

১। পুশ আপঃ- পুশ করার ফলে খুব সহজেই পেটের ওপর চাপ পড়ে, এটি নিত্য দিন করার ফলে পেটের মেদ কমে যায় খুব সহজেই। এর জন্য প্রথমে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এরপর হাতদুটি কাঁধ বরাবর দুপাশে রাখুন। এরপর হাত এবং পায়ের ভরে নীচ থেকে উপরে আর উপর থেকে নীচে ওঠা-নামা করুন। ১৫ মিনিট মত রোজ করুন।

২। জাম্পিং জ্যাকঃ- স্কুলে ফিজিক্যাল এডুকেশন ক্লাসে এই ব্যায়াম কম-বেশি সকলেই করেছেন। এরজন্য প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়ান। এরপর এক লাভে পা ফাঁক করে হাত দুটি ওপরে তুলুন। আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসুন। রোজ ১৫ থেকে ২০ মিনিট মত এটি করুন।

এইভাবে নিয়মিত ঠিকঠাক ডায়েট এবং নিয়মিত যোগব্যায়ামের ফলে অনিয়ম করলেও ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে। পার্টির দিন মজা করেও স্লিম ও ফিট থাকতে চাইলে বাকি দিন মেনে চলুন এই সহজ কয়েকটি নিয়ম। যা আপনাকে হেলদি রাখতে সাহায্য করবে পাশাপাশি অতিরিক্ত চর্বি জমার হাত থেকে শরীরকে বাঁচাবে।