উত্সবের মরসুমের শেষে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা যে ফের বাড়তে শুরু করবে,তার আশঙ্কা আগেই করা হয়েছিল। সতর্কবার্তা অনুযায়ী সত্যিই দেশে ফের করোনা সংক্রামকের সংখ্যা উদ্বেগের সঙ্গে বাড়তে চলেছে। অক্টোবরের শেষে দিকে দেশে তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়বে, তা পূর্বেই সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে চিকিত্সকবিজ্ঞানীদের কথা মতো, এই ঢেউয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে শিশুরা। এদিকে প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণ হলেও শিশুদের ভ্যাকসিনের খবর তেমন আশাপ্রদ নয়। ফলে উদ্বিগ্নের সঙ্গে দিন কাটছে মা-বাবাদের।
২০২১ সালের জানুয়ারিতে গণটিকাকরণ অভিযান শুরু হয়। প্রথমদিন থেকেই প্রাপ্ত বয়স্কদের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। টিকা ভাইরাসের বিস্তার রোধ করবে, এবং হাসপাতালে ভর্তি কমাবে সে বিষয়ে চিন্তার বিষয় নয়। বরং এখন শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে বেশি চিন্তা দেখা গিয়েছে। এই টিকা নিতে পারবে। বাচ্চাদের জন্য টিকা দেওয়ার আগে মা-বাবাদের কী করণীয় ও কী করণীয় নয়, তা জেনে রাখা উচিত।
কীভাবে দেওয়া হবে
নিডল-বিহীন ভ্যাকসিন পদ্ধতিতে তিনটি ডোজ় দেওয়া হবে। প্রথম শট নেওয়ার পর দ্বিতীয়টি ২৮তম দিনে ও তৃতীয়টি ৫৬তম দিনে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হবে।
কী কী করণীয়
– প্রথমত, টিকা দেওয়ার দিন ও তারিখের পরিকল্পনা করা আগে, মা-বা অথবা অভিভাবকরা তাঁদের সন্তানের অ্যালার্জি বা সংক্রমণ রয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করে নেবেন। তার জন্য শিশুর শিশুবিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন।
– আপনার সন্তান কোন ওষুধ খেয়ে থাকেলে ডাক্তারকে অবহিত করুন এবং জিজ্ঞাসা করুন টিকা দেওয়া ভাল ধারণা কিনা।
– বাচ্চাদের টিকা দেওয়ার আগে বা কোনও কঠিন কার্যকলাপ করার আগে আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই।
– বাচ্চাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার আগে সুষম খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন। প্রচুর তাজা ফল এবং শাকসবজি খান। খালি পেটে টিকা দিতে যাবেন না।
– ভ্যাকসিন কেন্দ্রে যতক্ষণ থাকবেন, ততক্ষণ কোভিড প্রটোকল মানা হচ্ছে কিনা দেখে নিন। নিজে ও বাচ্চাও যেন বিধি-নিষেধ মেনে চলে তা নিশ্চিত করুন। মাস্ক পরা, হাতে স্যানিটাইজ করা ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে চলুন।
– টিকা দেওয়ার পর, ভয় পাওয়ার দরকার নেই। কারণ পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াগুলি খুব কমই হবে। যেমন টিকা নেওয়ার জায়গায় ব্যথা, ফোলা, জ্বর আসা, শরীরের ব্যথা হওয়া। বড় কোনও অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ নিন।
– টিকা নেওয়ার পর প্রচুর পরিমাণে জল পান করানোর চেষ্টা করুন। জাঙ্ক বা প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন। ভালভাবে বিশ্রাম নিতে বলবেন ও তা কোনও ভারী কাজ যেন না করে তা নিশ্চিত করুন।