অনেকেই মনে করেন যে হাডাটাক কেবল পুরুষদের রোগ কিন্তু এটা ভুল ধারণা কারণ নারী পুরুষ উভয়ের এই রোগের ঝুঁকি রয়েছে। তবে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ নারী ও পুরুষের ভিন্ন ভিন্ন। একমাস আগে থেকেই দেখা যেতে শুরু করে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ। তাই যদি এই লক্ষণগুলো আপনার মাঝে দেখা যেতে থাকে তাহলে দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। কারণ এই লক্ষণগুলো জানিয়ে দেয় যে আগামী কিছুদিনের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি রয়েছে আপনার।
আপনাদের শরীরে করোনারি আটারিতে রক্ত প্রবাহ কমে যাওয়া তরুণী হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা দেখা যায় তবে তা একদিনে হয় না ধীরে ধীরে লক্ষণ ফুটে উঠতে থাকে।
১. নিঃশ্বাসে কষ্ট হওয়ার হার্ট অ্যাটাককে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ যদি আপনার নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয় দম আটকে আসে ভাব হয় প্রায় তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারি পরামর্শ নিন। Respiratory and cardiovascular system পরস্পরের ওপরে নির্ভরশীল। যদি আহাট কম রক্ত পায় তাহলে ফুসফুসের কম অক্সিজেন পায়। ফলাফল হচ্ছে নিশ্বাস আটকে আসা ভারী নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস এ কষ্ট হওয়া অর্থাৎ যদি নিঃশ্বাসের সমস্যা দেখা যায় দমবন্ধ লাগে তবে মুঠো অবহেলা করা উচিত নয়। প্রতিটি অঙ্গই পর্যাপ্ত রক্ত ও অক্সিজেন চায়। কিন্তু হাট ক্ষতিগ্রস্ত হলে ফুসফুস ও সমস্যায় পড়ে। তাই এই দমবন্ধ অবস্থা দেখা দেয় এর সঙ্গে এসে জুড়ে বমি বমি ভাব তলপেট ব্যথা ইত্যাদি উপসর্গ।
২. দেহের বা পেশিগুলোকে দুর্বল মনে হওয়া, পরিশ্রমের কাজ করতে কষ্ট হওয়া ইত্যাদি হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা দ্বিতীয় লক্ষণ শরীরে অক্সিজেন ঘাটতি। ফলে দেহের পেশীগুলো ঠিক মতন কাজ করে না ও দুর্বলতা অনুভূতি হয়। আর যদি অতিরিক্ত ক্লান্তি ভাব গ্রাস করে তবে তা অবহেলা করার কিছু নেই। কেননা এ ক্লান্তি পরে অ্যাটাকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলে আসলে এই দুর্বলতা হলো রক্ত প্রবাহ কমে যাওয়ার ফল। অটারি গুলো শুরু হয়ে যাওয়ার ফলে পেশি দুর্বল হয়ে পরে। এই ক্লান্তি তথা দুর্বলতা কিন্তু এটাকে অশনি সংকেত।
৩. ঝিমুনি হওয়া এবং ঠান্ডা ঘাম হওয়া, অর্থাৎ কোনো কারণ ছাড়াই ঘামতে থাকে অন্তত গুরুত্বপূর্ণ একটি লক্ষণ। যদি পরিশ্রমের কাজ না করেও ঘামতে থাকে বা সময়ে সময়ে ঝিমুনি আসতে থাকে তাহলে মুঠো অবহেলা করবেন না ঘুমের মাঝে নিঃশ্বাসে কষ্ট হওয়া ঘুম ভেঙ্গে জেগে দেখলে যে ঘুমিয়ে গিয়েছেন আপনি ইত্যাদি ঘটনাগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাথে নিন।
৪. বুকে চাপা অনুভূতি। Coronary artery শুরু হয়ে যাওয়ার কারণে মুখে যাব অনুভূতির হওয়া বা চাপা ব্যথা হতে পারে। এই ব্যথাকে গ্যাসের ব্যথা ( যেটা বেশিরভাগ মানুষই মনে করেন) মনে করি এড়িয়ে যাবেন না অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৪. যদি কাঁধে, হাতে ক্রমাগত ব্যথা হতে থাকে তবে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। আর বুকে ব্যথা বা বুকে চাপ ধরলে তো অবহেলা করা উচিত নয়।
সব মিলিয়ে হার্টের ক্ষতি ধারাবাহিকভাবে হতে থাকে। রক্ত প্রবাহ কমছে থাকার লক্ষণ আগেভাগেই জানান দেয় শরীর। সেই মতন বুঝে গোড়াতেই চিকিৎসা করলে অনেক সময় অ্যাটাকের সম্ভাবনা এগিয়ে যায়। শরীরটি আপনার, যত্ন নিতে হবে আপনাকেই। শরীর যেকোনো অসুখ-বিসুখে লক্ষনীয় অগ্রিম জানান দেয়। এই লক্ষণগুলো বুঝে নিতে পারলে নিজেকে ঝুঁকিমুক্ত রাখা যায় অনেকটাই।