কিডনি হচ্ছে আমাদের দেহের রক্ত পরিশোধনের অঙ্গ। আমরা যেসব খাবার খেয়ে থাকি তার পুষ্টি সরাসরি আমাদের দেহে ছড়ায় না। বরং খাবার গ্রহণের পর, তার একটি অংশ কিডনি থেকে রক্ত যায়। এবং রক্তের মাধ্যমে পুরো দেহ সঞ্চালিত হয়। এছাড়াও শরীরে জমে থাকা অনেক রকম বর্জ্য অপরিশোধিত হয় কিডনিতে। কিডনির নানান সমস্যার মধ্যে সবচাইতে বড় সমস্যা হচ্ছে কিডনিতে পাথর হওয়া। কিডনির পাথর জমা মারাত্মক একটি পরিচিত সমস্যা। কিডনির ভিতরে কঠিন পদার্থ জমা হয়ে কিডনিতে পাথর হয়। এটি সাধারণত আকারে ছোট হয়ে থাকে। কিডনিতে নানান কারণে পাথর হতে পারে। খনিজ পদার্থ, অম্ল, ও লবণের মিশ্রণের কিডনি পাথর তৈরি হয়। পস্রাব ঘনীভূত হয়ে খনিজ পদার্থ গুলো দানা বাঁধে এরপর সেগুলো পাথরের রুপান্তরিত হয়।
বিভিন্ন কারণে কিডনিতে পাথর হয়ে থাকে তবে প্রস্রাব গাঢ় হলে তাৎক্ষণিক গুলোকে দানাবাঁধা তে সহায়তা করে এবং তা পাথরের রূপ নেয়।
কিডনিতে পাথর জমলে তা যে কারো জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই উপসর্গ বা লক্ষণগুলো জানা থাকলে নিরাময়ে সুবিধা হবে আপনার। কিভাবে বুঝবেন কিডনিতে পাথর এর লক্ষণ-
- কিডনিতে পাথর হলে ঠিক মতন বসতে দাঁড়াতে কিংবা শুতে সমস্যা হতে পারে পেটে অসহ্য যন্ত্রণা হওয়ার পাশাপাশি সব সময় অস্থির বোধ হতে পারে আপনার।
- কিডনিতে পাথর জমা হয়ে কখনো বা প্রস্রাবে রক্ত দেখা দিতে পারে।
- পাঁজরের দুই পাশে কিংবা ও তলপেটে ব্যথা হতে পারে।
- প্রস্রাবের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়া ব্যথা হওয়া পাশাপাশি মূত্রের রং গোলাপি , লাল, বা গাঢ় রং এর হতে পারে।
- পাথরের আকৃতি এবং কিডনির কোন স্থানে পাথর জমেছে তার ওপর উপসর্গগুলো নির্ভর করে।
- কিডনিতে পাথর হলে পিঠের দুপাশে, তলপেটে ব্যথা হয় প্রস্রাবের পরিমাণ বেশি থাকে , প্রস্রাবের সময় ব্যথা হয়, ইউরিন এর রং গোলাপি, লাল, বাদামি, কিংবা গাঢ় রংয়ের হয়। জ্বর এবং বমি বমি ভাব হয়।