কালো কিশমিশ ফাইবার, ভিটামিন সি, আয়রন, পটাশিয়াম, পলিফেনল এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। এটি কোলেস্টেরল, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি চুল পড়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
টুকটাক ড্রাই ফ্রুটস খেতে সবারই ভাল লাগে। ড্রাই ফ্রুটস খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমন আমাদের স্বাস্থ্যেরও অনেক উপকার করে। বিভিন্ন ড্রাই ফ্রুটস-এর তালিকায় কিশমিশও থাকে। তবে আপনি কি কখনও কালো কিশমিশ খেয়েছেন? সাধারণত কালো আঙুর শুকিয়ে এই কিশমিশ তৈরি করা হয়। কালো কিশমিশ ফাইবার, ভিটামিন সি, আয়রন, পটাশিয়াম, পলিফেনল এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ। এটি কোলেস্টেরল, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি চুল পড়া এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। সারারাত জলে ভিজিয়ে রেখে কালো কিশমিশ খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে দারুণ উপকারি।
১) কালো কিশমিশ ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম সমৃদ্ধ, যা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ক্যালসিয়াম হাড়কে মজবুত করে। তাছাড়া ক্যালসিয়ামের অভাবে, অস্টিওপোরোসিসের মতো গুরুতর হাড়ের ব্যাধিও দেখা দিতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, কালো কিশমিশে উপস্থিত মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করতে সহায়ক।
২) চুল ফাটা এবং রুক্ষ-শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যায় ভুগছেন? তাহলে নিয়মিত কালো কিশমিশ খাওয়া শুরু করুন। কালো কিশমিশ ভিটামিন সি এবং আয়রনের পাওয়ার হাউস। এটি চুলে পুষ্টি যোগায়, চুল ভালো রাখে। তাছাড়া এটি মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে, চুলের ফলিকলগুলিকেও উদ্দীপিত করে এবং চুল পড়া প্রতিরোধ করে। এর উচ্চ ভিটামিন সি উপাদান চুলে পুষ্টি জোগায়, এইভাবে চুলের অকাল পক্কতা হওয়া রোধ করে।
৩) কালো কিশমিশ পটাশিয়াম সমৃদ্ধ, যা উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। কিশমিশে থাকা উচ্চ পটাসিয়াম শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ কমাতে সহায়তা করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে, নিয়মিত কালো কিশমিশ খাওয়া শুরু করুন।
৪) কালো কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার উপস্থিত, যা মলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং মসৃণভাবে চলাচল করতেও সহায়তা করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়।
৫) কালো কিশমিশ আয়রন সমৃদ্ধ। তাই যাদের রক্তাল্পতার সমস্যা আছে, তারা নিয়মিত এক মুঠো কালো কিশমিশ খেলে উপকার পেতে পারেন।
৬) রক্তে অমেধ্য বা অপরিষ্কার রক্তের ফলে শুষ্ক ত্বক এবং ব্রণ-পিম্পলের সমস্যা দেখা দেয়। প্রতিদিন কালো কিশমিশ খেলে রক্ত থেকে টক্সিন, বর্জ্য পদার্থ এবং অন্যান্য ময়লা দূর হয়। এতে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শরীরকে সম্পূর্ণরূপে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে।