কাঁচা হলুদ বহুদিন ধরেই ঔষধি হিসাবে ও রূপচর্চায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। শরীরের কোন অংশে কেটে গেলে আমরা দ্রুত সেখানে কাঁচা হলুদ দিয়ে দেওয়া হয়। এর ঔষধি গুনাগুণ প্রচুর। কাঁচা হলুদের এই সমস্ত গুনাগুণ সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানি। সেই জন্য অনেকেই সকালে কাঁচা হলুদ খান। কিন্তু এর সঙ্গে রয়েছে আরেকটি উপাদান যা এর মতই উপকারি। সেটি হল গুড়। অনেকেই সকালে ছোলার সঙ্গে গুড় খান। যদি একইরকম ভাবে কাঁচা হলুদের সঙ্গে গুড় খাওয়া যায়, তাহলেও সেটিও ভীষণ উপকারি। তাহলে দেখেনি কাঁচা হলুদের সঙ্গে গুড় খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায়।
১. হজম বাড়ায়
এখন প্রচুর মানুষ গ্যাস, অম্বলের সমস্যায় ভোগেন। কাঁচা হলুদের সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খেলে এই সমস্যার উপকার পাওয়া যায়। গুড় পেটকে ঠাণ্ডা রাখে। আর তার সঙ্গে কাঁচা হলুদ যোগ হলেতো কোন কথাই নেই। হলুদ গ্যাস, অম্বল কমাতে সাহায্য করে। তাই এই সমস্যা কমাতে রোজ খান কাঁচা হলুদের সঙ্গে গুড়।
২. ত্বকের সমস্যায়
ত্বকের যত্নে কাঁচা হলুদের ব্যবহার আমরা সবাই জানি। কিন্তু কাঁচা হলুদ মাখার সাথে সাথে, যদি কাঁচা হলুদের সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খাওয়া যায়, তাহলে সেটিও সমান উপকারি। কারণ গুড় রক্তকে পরিষ্কার রাখে। আর শরীর থেকে টক্সিন কমায়। রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। আর কাঁচা হলুদ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। অ্যান্টিসেপটিক হিসাবে ত্বকের যাবতীয় সমস্যা দূর করতে উপকারি এটা আমরা জানি। তাই দুটো একসাথে খেলে ত্বক সুন্দর থাকে এবং ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করতে বেশ উপকারি।
৩। আর্থারাইটিসের সমস্যায়
আর্থারাইটিসের সমস্যায় কাঁচা হলুদ ও গুড় সকালে খেতে পারেন। উপকার পাবেন। গুড় গাঁটের ব্যাথা কমাতে বেশ উপকারি। এমনি দুধের সঙ্গে বা শুধু গুড় খেলেই উপকার পাওয়া যায়। আর বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে কাঁচা হলুদেও রয়েছে সেই গুণ। আর সকালে যদি দুটো একসাথে খাওয়া যায় তা হলেতো কোন কথাই নেই। তাই সেই কষ্টকর ব্যাথা থেকে মুক্তি পাবার জন্য কাঁচা হলুদ ও গুড় রোজ খান।
৪. অতিরিক্ত মেদের সমস্যায়
গুড় যেহেতু শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন বার করে দেয়, তার ফলে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমে। যেটা টক্সিন জমে থাকার ফলে হয়। এর পাশাপাশি শরীরকে ফিট রাখতে সাহায্য করে। আর হলুদেও কিছুটা রয়েছে সেই গুণ। তাই অতিরিক্ত মেদ কমাবার জন্য রোজ সকালে কাঁচা হলুদের সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি অতিরিক্ত মেদ গলাতে উপকারি।
৫. সর্দি কাশির সমস্যায়
যাদের ঠাণ্ডা লাগার সমস্যা আছে তারা কাঁচা হলুদের সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খেতে পারেন। ঠাণ্ডা লাগার সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে। এছাড়াও সর্দি হলে একটু গুড় খেতে পারেন। অনেকটাই সস্তি পাবেন আবার কাশি হলে একটু কাঁচা হলুদ মুখে রাখুন। কাশি কমবে। শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে রোজ কাঁচা হলুদের সঙ্গে গুড় খান।