+91 98304-64566 atnmediicaree@gmail.com

কথায় বলে নাকি ‘অনেক কিছু হতে পারে এক কাপ কফিতে‘। হ্যাঁ সত্যি অনেক কিছুই করতে পারে এক কাপ কফি। কফি শুধু মাত্র একটি পানীয় না তার থেকে আরো অনেক কিছু। কফি খেলে যেমন আমাদের স্বাস্থ্য বজায় থাকে ঠিক সেই ভাবেই কফির বীজ আমাদের ত্বকে লাগালে আমাদের ত্বক নানা রকম ভাবে উপকৃত হয়। কফির মধ্যে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি,অ্যান্টি অক্সিডেন্ট,ইত্যাদি থাকে যা আমাদের ত্বকের উপর কাজ করে আশ্চর্য সব উপকার করে। কফি আমাদের মুখ উজ্বল করে তোলে,ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু বা ক্ষতিগ্রস্ত কোষকে মেরামত করে তোলে এবং আমাদের ত্বককে স্বাস্থ্যকর করে তোলার জন্যও সাহায্য করে। কফি ত্বক ছাড়াও শরীরেরও নানা রকম উন্নতি করে। আজ আমরা তাহলে জেনে নিই যে কফি পানীয়র সাথে সাথে কিভাবে আমাদের ত্বককে উপকৃত করে।

কফি চোখের তলার কালি বা চোখ ফুলে যাওয়া কে দূর করে

ঘুমের অভাবে বা ডিহাইড্রোশনের জন্য চোখের তলায় কালি পরে যায়। কফির মধ্যে ইনফ্লেমেটরি বস্তু আছে যা আমাদের চোখের তলার কালি কে দূর করে এবং আমাদের চোখের নিচে একত্রিত বা জমাট বাধা রক্তকে দূর করে। কফি আমাদের বহুদিনের পুরোনো চোখের তলার কালির দাগ দূর করতে পারেনা। বহু বছরের চোখের তলার কালি দাগ দূর করতে খুব একটা কার্যকর না কফি। বহু বছরের চোখের তলার কালি দুর করতে হলে আমাদের ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া অতন্ত প্রয়োজন।

আমাদের ইউ ভি রে এর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ত্বককে রক্ষা করে

বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে জানা গেছে যে আমাদের ত্বক যদি বহুদিন ইউ ভি রে এর সম্মুখীন হয় তাহলে কফি সেই ক্ষতিগ্রস্ত ত্বককে সারিয়ে তুলতে সক্ষম হয়। কফিতে আ্যন্টি অক্সিডেন্ট থাকে যা আমাদের ত্বককে ইউ ভি রে এর থেকে মোকাবিলা করতে সাহায্য করে।

ত্বকের ফুলে যাওয়া ভাব বা লাল ভাব কমায়

কফিতে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি পদার্থ আছে যা আমাদের ত্বকের ফুলে যাওয়া কে কমায়। কোনো কোনো সময় আমাদের ত্বকের কিছু অংশ অন্য অংশের থেকে বেশি লাল হয়ে যায়। সেই সব ত্বকের অংশে কফি লাগালে আমাদের ত্বকের লাল হয়ে যাওয়া ভাব অনেকটাই কমবে এবং আমাদের ত্বকের রঙ সব জায়গায় সমান করে তোলে।

আমাদের ত্বককে নরম করে তোলে এবং হাইড্রেট করে আমাদের ত্বককে

দুই চামচ দুধের সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে তার মধ্যে দুই চামচ কফি এবং দুই চামচ কফির মিশ্রণ বানিয়ে তা মুখে লাগাতে হবে। আধ ঘন্টার মত রেখে আমাদের মুখ ধুয়ে ফেললে আমরা পেয়ে যেতে পারি নরম ত্বক যা যথেষ্ট পরিমাণে হাইড্রেটও হয়ে যায়। মিশ্রণটি আমাদের ত্বককে স্বাস্থ্যকর করে তোলে তাই আপনারাও বাড়িতে এই মিশ্রণটি বানিয়ে ফল দেখে নিতে পারেন।

আমাদের ত্বককে টান টান করে তোলে

বয়সের সাথে সাথে আমাদের ত্বক আলগা হয়ে ওঠে এবং আমাদের ত্বক কুঁচকে যায়। ত্বক কুঁচকে যাওয়ার ফলে বেশ কিছু বলি রেখা দেখা যায় আমাদের মুখে যা আমাদের একেবারেই গ্রহণযোগ্য না। বলি রেখার ফলে আমাদের বেশি বয়স্ক লাগে। কফি মুখের সেইসব বলি রেখা দূর করতে সাহায্য করে এবং আমাদের ত্বককে টান টান করে তোলে। ত্বকের ফুলে যাওয়া ভাবকেও কমিয়ে কফি ত্বকে আটোসাটো করে তোলে যার ফলে আমাদের কম বয়সের দেখতে লাগে।

মুখের জৌলুশতা বাড়ে কফি লাগালে

আমরা সবাই চাই আমাদের ত্বক যেন নিজের জৌলুশটা ফিরে পায় এবং উজ্জ্বল দেখায়।এই জৌলুশটা কিন্তু আমরা খুব সহজেই কফির সাহায্যে পেয়ে যেতে পারি।আধ কাপ কফির সাথে কয়েক চামচ দুধ মিশিয়ে আমাদের মুখে সেই মিশ্রণটি আধঘন্টার মতো লাগিয়ে রাখলেই সেই মিশ্রণটি আমাদের মুখের উপর ফেস প্যাকের মতো কাজ করবে এবং আমরা সহজেই আমাদের মুখের উজ্বলতা ফিরে পাবো।

মাথার চামড়ার ত্বকের চামড়ার উন্নতি করে

১/৩ কাপের মতো গ্রাউন্ড কফি নিয়ে তা আমাদের মাথার তালুর চামড়ার উপর ১ মিনিট মত ঘষলে তা আমাদের মাথার তালুর ত্বকের উন্নতি ঘটায়। এর ফলে আমাদের চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং আমাদের মাথার তালুর চামড়ার স্বাস্থ্যও ভালো হয়। মাথায় কফি লাগানোর পর সাধারণ ভাবে শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার করা যেতে পারে।

কফি স্ক্রাবার হিসেবে ও কাজ করে

স্ক্রাবার আমাদের ত্বকের জন্য খুবই জরুরি। স্ক্রাবার আমাদের ত্বকের মরে যাওয়া কোষগুলি সরিয়ে দিয়ে ভালো ভিতরের কোষ বের করে আনে। এর ফলে আমাদের ত্বকের স্বাস্থ্য উপকৃত হয়। বাড়িতে সহজেই কফির স্ক্রাব বানাতে পারি।কিভাবে? তাহলে দেখে নিই পদ্ধতি টা। কফির সাথে বাদামি চিনি এবং অলিভ অয়েল মিশিয়ে সেই মিশ্রণটি আমাদের মুখে চক্রাকারে  ঘষতে হবে কিছু মিনিট। কিছুক্ষন পর মুখ ধুয়ে ফেললেই আমরা কফির স্ক্রাবের গুন পেয়ে উঠতে পারি। এই স্ক্রাবারটি লাগানোর পর আমাদের মুখ নরম এবং পরিষ্কার হয়ে ওঠে।

পা পরিষ্কার করে

কফি পা পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে।নারকেল তেলের সাথে কফি মিশিয়ে পায়ে লাগালে তা খুবই উপকার দেয়। কফির সাথে নারকেল তেল মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। তারপর উষ্ণ গরম সাবান জলে পা ভিজিয়ে রাখতে হবে। ১০ মিনিটের মতো পা ভেজানোর সাথে সাথে আমাদের বানানো মিশ্রণটি পায়ে ঘষতে হবে। তারপর হালকা গরম জল দিয়ে পা ধুয়ে ফেলতে হবে। এই পদ্ধতি অনুসরণ করার পর আমরা তার ফলস্বরূপ দেখতে পারি যে আমাদের পায়ের মরে যাওয়া কোষ গুলি আর নেই এবং আমাদের পাও নরম হয় উঠেছে।