+91 98304-64566 atnmediicaree@gmail.com

মজবুত  সুন্দর চুল কারই না ভালো লাগে বলুন! কিন্তু সকলের যে চুল সেইরকম মজবুত থাকে তা তো নয়। বেশির ভাগ মানুষের সমস্যা হল চুল পড়ে যাওয়া, চুলের ডগা ভাঙা, অকালপক্কতা এইসব।এই সবই হল দুর্বল চুলের লক্ষণ। কিন্তু চুল মজবুত করবেন কী করে? কিছু সাধারণ অথচ কার্যকরী ঘরোয়া উপায়ের মাধ্যমে। যাতে কয়েকদিনের মধ্যেই চুল মজবুত হয়ে উঠবে ন্যাচারালি।

১। চুলে হিট দিলে ঠিক ভাবে দিনঃ- যদিও চুলে হিট দেওয়া খুব যে একটা ভালো কাজ তা নয়। কিন্তু, স্টাইল না করে আমরা থাকতে পারব না, আর স্টাইল করতে গেলে চুলে খানিক হিট দেওয়া দরকার। এছাড়া অনেকে স্নান করে ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকিয়ে নেন।

সাধারণ ভাবে চুল শুকিয়ে নেওয়ার সময় অনেকেরই থাকে না। তাহলে কী করবেন? মাথার স্ক্যাল্প থেকে ৬ ইঞ্চি নিচের থেকে এই হিট অ্যাপ্লাই করুন। যাঁদের চুলের ডগা ভাঙার সমস্যা আছে, শুষ্ক চুল যাঁদের, তাঁরা কিন্তু কম ব্যবহার করবেন হিট। হিট ব্যবহার করার সময়ে কখনই এক জায়গায় বেশিক্ষণ হিট দিয়ে রাখবেন না, সমস্ত চুলে ঘোরাবেন।

২। ভিটামিনের প্রয়োজনঃ- চুল ভিতর থেকে ভালো রাখতে ভিটামিনের বিকল্প নেই। নির্দিষ্ট কিছু ভিটামিন যেমন ভিটামিন এ, বি, সি, ডি আর ভিটামিন ই খুবই ভালো চুলের জন্য।

এবার তাহলে আপনাকে এই ভিটামিন রয়েছে এমন খাবার খেতে হবে। মাছ, ডিম, পালং শাক, আমন্ড, মুসুরির ডাল, কুমড়ো, বাদাম এই সব থেকে আপনি ভিটামিন পেয়ে যাবেন। ভিটামিন ডি’র জন্য রোদের সংস্পর্শে ৩০ মিনিট থাকতেই হবে।

৩। শ্যাম্পু ব্যবহার ঠিক মতো জানুনঃ- শ্যাম্পু যেটি ব্যবহার করছেন সেটির উপকরণ ঠিক মতো দেখছেন তো? অনেক সময়ে শ্যাম্পুতে এমন কিছু রাসায়নিক দেওয়া থাকে যার থেকে চুলের ক্ষতি হয় বেশি ভালো হওয়ার থেকে।

মাইল্ড শ্যাম্পু বা বেবি শ্যাম্পু সবচেয়ে ভালো। খুব তেলতেলে চুল না হলে শ্যাম্পু সপ্তাহে তিন দিনের বেশি করা ঠিক হবে না। এতে চুলের ন্যাচারাল অয়েল শুকিয়ে যাবে। ফলে চুল ড্রাই হয়ে যাবে। আর শ্যাম্পু করার সময় অবশ্যই খুব বেশি করে শ্যাম্পু নেবেন না। হাল্কা হাতে ম্যাসাজ করবেন স্ক্যাল্পে। তারপর চুল ধুয়ে নেবেন।

৪। তেল দিয়ে মালিশঃ– শ্যাম্পু যেটি ব্যবহার করছেন সেটির উপকরণ ঠিক মতো দেখছেন তো? অনেক সময়ে শ্যাম্পুতে এমন কিছু রাসায়নিক দেওয়া থাকে যার থেকে চুলের ক্ষতি হয় বেশি ভালো হওয়ার থেকে।

মাইল্ড শ্যাম্পু বা বেবি শ্যাম্পু সবচেয়ে ভালো। খুব তেলতেলে চুল না হলে শ্যাম্পু সপ্তাহে তিন দিনের বেশি করা ঠিক হবে না। এতে চুলের ন্যাচারাল অয়েল শুকিয়ে যাবে। ফলে চুল ড্রাই হয়ে যাবে। আর শ্যাম্পু করার সময় অবশ্যই খুব বেশি করে শ্যাম্পু নেবেন না। হাল্কা হাতে ম্যাসাজ করবেন স্ক্যাল্পে। তারপর চুল ধুয়ে নেবেন।

৫। প্রোটিন যুক্ত খাবারঃ- আমাদের চুল কিন্তু বিশেষ এক ধরণের প্রোটিন। চুলকে মজবুত রাখতে তাই প্রোটিন রোজ শরীরে দিতেই হবে। আপনার ডায়েটে পরিমাণ মতো প্রোটিন রাখুন। এর জন্য রোজ ডিম তো খেতেই হবে। সঙ্গে রাখতে হবে বাদাম। যাঁদের রক্তচাপের সমস্যা নেই তাঁরা নির্দিষ্ট পরিমাণে মাংস খেতে পারেন। এছাড়া পালং শাক, বিনস এই সবও খুব উপকারী।

৬। চুলে দিন ঠাণ্ডা জলঃ- অতিরিক্ত গরম জল চুল খারাপ করে দেয়। অতিরিক্ত গরম জল চুলের কিউটিকল নষ্ট করে। তার সঙ্গে চুলের গোড়াও খারাপ করে দেয়। এর ফলে চুল দুর্বল হয়ে পড়ে যায়। তাই ঠাণ্ডা জল ব্যবহার করুন। ঠাণ্ডা জল একান্তই মাথায় দিতে না পারলে উষ্ণ গরম জল দিন চুলে। এতে চুলের ক্ষতি হবে না।