+91 98304-64566 atnmediicaree@gmail.com

চুলের যত্নের জন্য আমরা হরেক রকমের প্রোডাক্ট ব্যবহার করি। কতই না টাকা খরচ করি চুল ভালো রাখার জন্য। কিন্তু তাও দেখি চুল বাজে হয়ে যাচ্ছে। কোথাও গোড়ায় গলদ নেই তো? রাতে ভিজে চুলে ঘুমোতে যাচ্ছেন না তো? তাহলেই কিন্তু সর্বনাশ। চট করে পড়ে নিন আজকের লেখা। বিশদে জানতে পারবেন ভিজে চুলে কেন ঘুমোতে যেতে নেই।

আমরা প্রায় বেশির ভাগ মানুষ সন্ধ্যেবেলা বা রাতে বাড়ি আসি কাজ থেকে। এসে বাথরুমে ঢুকে মাথা ভিজিয়ে স্নান করা আমাদের অভ্যেস, গরমকালে তো বটেই। এই চুল কিন্তু সহজে শুকিয়ে যাচ্ছে না। আর বর্ষাকালে যেহেতু এমনিতেই একটা স্যাঁতস্যাঁতে ভাব থাকে তাই আরও শুকোয় না।

১। রুক্ষতাঃ- ভিজে চুলে ঘুমোলে আপনার চুল রুক্ষ হতে বাধ্য। আপনি যদি ভিজে চুলে ঘুমোন তাহলে সেই জল আপনার চুলের স্বাভাবিক তেল শুষে নেয়। অয়েল গ্ল্যান্ড থেকে পর্যাপ্ত তেল উৎপাদন কমে যেতে পারে। তার ফলে চুল হাইড্রেটেড আর থাকতে পারে না। ফলে চুল হয়ে যায় শুষ্ক, রুক্ষ। আর এর থেকেই শুরু হয় চুল পড়া, চুলের ডগা ফাটার মতো সমস্যা।
২। চুল পড়ে যাওয়াঃ- ভিজে চুল কিন্তু চুল পড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। নিজে চুলে শুলে চুল ম্যানেজেবল থাকে না। সবচেয়ে বড় কথা, মাথা বা স্ক্যাল্প ভিজে থাকলে চুল নরম হয়ে থাকে। আর ঘুমের মধ্যে আমাদের খেয়ালও থাকে না। হঠাৎ করে পাশ ফিরতে গিয়ে চুলে টান লাগলে চুল সহজেই ছিঁড়ে যায়। তাছাড়া, ভিজে চুলে শুলে চুলে জট পড়ার প্রবণতাও বাড়ে। আর জট ছাড়াতে গেলেই গোছা গোছা চুল পড়া শুরু। তাই ভিজে চুলে শোয়া ঠিক নয়।
৩। মাথায় চুলকুনিঃ- ভিজে চুলের সংস্পর্শে মাথার বালিশ এলে সেটা অনায়াসেই ভিজে যায়। তাহলে চুল, স্ক্যাল্প, বালিশ সবই ভিজে ভিজে। আর আমাদের শরীরের একটা তাপ তো আছে। সেই তাপ মাথাতেও আছে। এই শরীরের তাপ আর ভিজা চুলের ঠাণ্ডা ভাব, এই দুটো মিলে যে স্যাঁতস্যাঁতে ভাব তৈরি করে তাতে ব্যাকটেরিয়া, ইনফেকশন অনেক বেশি হয়। এর থেকে জন্ম নিতে পারে খুশকি। ফলে মাথা চুলকায়, মাথায় ইরিটেশন হয়।
৪। চুলের ফ্রিজিংঃ- ভিজে চুলে আপনি সারা রাত থাকলে চুল ফ্রিজিং এর সমস্যা বাড়ে। আর যদি এসি ঘরে ঘুমোন তাহলে তো কোনও কথাই নেই। যেহেতু সারা রাত আপনার মাথার চুল অবিন্যস্ত ছিল তাই সকালে উঠে আপনি কিছুতেই সেই চুল আপনার আয়ত্তে আনতে পারবেন না। দিনের পর দিন যদি ভিজে চুলে এসি ঘরে ঘুমোন তাহলে এই সমস্যা বাড়বে। তাই চেষ্টা করুন চুল শুকিয়ে নিয়ে ঘুমোতে যাওয়ার।
৫। চুলের ডগা ভাঙাঃ- এই সমস্যাটি আজকের দিনে খুবই কমন। এর একটি অন্যতম বড় কারণ কিন্তু এই ভিজে চুল নিয়ে ঘুমনো। ভিজে চুল মানেই নরম চুল। আর সেই চুলেই রাতে ঘুমনোর সময়ে অনবরত চাপ পড়ে। সেই চাপেই সহজে চুলের ডগা ভেঙে যায়। আর চুলের ডগা ভাঙতে শুরু করলে চুল তৈরি হওয়া বা চুলের গ্রোথ কিন্তু অনেক কমে যায়। তাই ভিজে চুলে রাতে না শোয়াই ভালো।