+91 98304-64566 atnmediicaree@gmail.com

শীত পড়তে না পড়তেই ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশিতে জেরবার ছোট থেকে বড়। এছাড়া আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় সেই সমস্যা আরও বেড়ে গিয়েছে। দিনের প্রখর রোদে চিরচিরে গরম, আবার সন্ধ্যে নামতেই হালকা শীতের আভাস। এই নভেম্বরের শেষে এসেও আস্তে করে পাখা চালাতে হচ্ছে। এমন আবহাওয়ায় স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখা জরুরি। তবে ডিসেম্বরের শীতে কাবু হওয়ার থেকে আগাম যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। শুধু স্বাস্থ্যের সুস্থতাই নয়, মানসিক ও শারীরিক সুস্থতাও কাম্য। খাদ্য শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে, আর তাই শীতকালে উষ্ণ থাকতে কী কী খাবেন তার একটি লিস্ট দেখে নিন একনজরে…

শীতের আবহে শরীর উষ্ণ রাখতে কোন কোন খাবার খাবেন-

আদা- সাধারণত একে আদ্রাক বলে। আদা প্রতিটি ভারতীয়দের বাড়িতে সহজেই পাওয়া যায়। খাবার থেকে পানীয়, সবেতেই নিয়মিত খাদ্যের অংশ হিসেবে ব্যাপকভাবে গ্রহণ করা যায়। আদা শুধু শীতকালে শরীরকে উষ্ণ রাখে তা নয়, এটিতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরির বৈশিষ্ট্য যা হজমশক্তিকে সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে।

স্যুপ- শীতকালে শরীর গরম করতে স্যুপের কোনও বিকল্প হয় না। লাঞ্চ, ডিনারে যে কোনও স্যুপ রান্না করে খাওয়া যেতে পারে। এটি যেমন শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে, তেমনি স্যুপ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ও পুষ্টিকরও বটে।

মধু- এটিও একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প উপাদান। যেকোনও খাবারে চিনি মেশানোর পরিবর্তে মধু ব্যবহার করতে পারেন। শরীরকে উষ্ণ রাখতে মধুর যেমন কোনও বিকল্প নেই, তেমনি এতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের বৈশিষ্ট্য।

ডিম– ডিম হল একটি সম্পূর্ণ খাবার। সুপারফুড হিসেবে পরিচিত ডিম হল প্রোচিনের একটি দুর্দান্ত উত্‍স। শীতকালে শরীরকে উষ্ণ রাখতে সাহায্য করে। স্ন্যাকস, ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ ও ডিনারের খাবারের সঙ্গে ডিম ডায়েটের তালিকায় যোগ করতে পারেন।

মিষ্টি আলু- শাকসবজি হিসেবে মিষ্টি আলু রান্নায় ব্যবহার করা হয়। শীতের আবহে শরীরের উপর উষ্ণতার প্রভাব ফেলে এই সবজি। এটি ফাইবার, পটাসিয়াম, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য পুষ্টিতেও সমৃদ্ধ। জটিল কার্বোহাইড্রেটের একটি উৎসও বলা যায়। যার কারণে শরীরকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পরিতৃপ্ত রাখতে সাহায্য করতে পারে।