+91 98304-64566 atnmediicaree@gmail.com

বিশ্ব জুড়েই থাবা বসিয়েছে ক্যানসার। ছোট থেকে বড়-এই মারণ রোগের হাত থেকে রেহাই পান না কেউই। দীর্ঘ চেষ্টার পর রোগের বাড়বাড়ন্ত কিছুটা কমানো যায় কিন্তু এই কর্কট রোগের হাত থেকে রেহাই কার্যত অসম্ভব। বিশ্ব জুড়ে প্রতি বছর অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হয় ক্যানসারে। চিকিৎসার বিপুল খরচের জন্য মধ্যবিত্তর কাছে কর্কট রোগ একটি আতঙ্কের নাম। অনেকেই ধরে নেন ক্যানসার মানেই মৃত্যু।

রোগের থেকে রোগআতঙ্ক অনেক বেশি মানুষের মনে। কিন্তু সঠিক সময়ে চিকিৎসা হলে এই রোগের হাত থেকেও রেহাই সম্ভব। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ শনাক্তকরণ ভীষণ ভাবে জরুরি। অনেকে বুঝতেই পারেন না যে তিনি ক্যানসার আক্রান্ত। আর তাই নিজের মতো চিকিৎসা না করে যত দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন ততই ভালো। সেই সঙ্গে নিয়মিত থাকতে হবে চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে।

আমরা যদি ব্লাড ক্যান্সারের কথা বলি, তাহলে এর বয়স নির্দিষ্ট নয়। বরং বলা যায় যে কোনও বয়সেই হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্লাড ক্যানসার হলে কোষগুলো মানুষের শরীরে রক্ত ​​তৈরি হতে দেয় না, যার কারণে রক্ত ​​কমতে শুরু করে। ব্লাড ক্যান্সারের আরও অনেক লক্ষণ রয়েছে যা উপেক্ষা করা কঠিন।

এর আগে ব্লাড ক্যান্সারের প্রকারভেদগুলো জানতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্লাড ক্যান্সার তিন প্রকার। এর মধ্যে রয়েছে লিউকেমিয়া, লিম্ফোমা এবং মাল্টিপেল মায়োলোমা। শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ব্লাড ক্যান্সার হতে পারে। সাধারণত ৩০ বছর পর এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

হাড় ও জয়েন্টে ক্রমাগত ব্যথা, মুখে, নাক দিয়ে বা মলত্যাগের সময় রক্ত ​​পড়া, জ্বর, রাতে ঘাম ও মাথা ঘোরা, ঘন ঘন ইনফেকশন হওয়া এবং শরীরের ওজন কমে যাওয়া, তাহলে এগুলো ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। ক্যান্সার আপনি যদি এই ধরনের উপসর্গ অনুভব করেন, অবিলম্বে পরীক্ষা করুন। এছাড়াও মনে রাখতে হবে ব্লাড ক্যানসার হলে শুরুতেই রোগীর মুখ, গলা, ত্বক ও ফুসফুসে নানা সমস্যা শুরু হয়।বারবার হতে পারে। এ ছাড়া হাড়, পেশিতে ব্যথা অনুভব করাও ব্লাড ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ।

লিউকেমিয়া এবং মাইলোডিসপ্লাস্টিক সিন্ড্রোম (এমডিএস) এ, অস্থি মজ্জা (বড় হাড়ের অভ্যন্তরীণ, স্পঞ্জি অংশ) ক্যান্সার কোষে ভরা হতে পারে, যা হাড় বা গাঁটে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। মাইলোমাতে, ক্যান্সার কোষের ভর অস্থি মজ্জায় তৈরি হতে পারে, যার ফলে হাত, পা, পিঠ বা বুকে হাড়ের ব্যথা হতে পারে। কিছু মাইলোপ্রলিফারেটিভ রোগ পায়ে রক্ত প্রবাহকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে, যার ফলে পা বা পায়ে ব্যথা হতে পারে। হাত, পা বা জয়েন্টগুলিতে কিছু হাড়ের ব্যথা বা ব্যথা রক্তের ক্যান্সারের চিকিৎসার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও হতে পারে। যেমন বিকিরণ বা কেমোথেরাপির জন্য এই প্রতিক্রিয়াগুলি দেখা দিয়ে থাকে।