+91 98304-64566 atnmediicaree@gmail.com

অতিরিক্ত চা পান করা অস্বাস্থ্যকর। অতিরিক্ত ক্যাফিন আমাদের রাতের ঘুম নষ্ট করতে পারে। এমনকি অনিদ্রার দিকেও অনেককে ঠেলে দিতে পারে। অতিরিক্ত স্ট্রেসে চা খেয়ে নেওয়া খুব একটা ভাল অভ্যেস নয়।

আজকের দিনে চা (Tea) ব্যাপারটাই যেন রোজনামচার একটা অঙ্গ হয়ে উঠেছে। সকালে ঘুম থেকে ওঠা থেকে শুরু করে রাতে ঘুমোতে যাওয়া পর্যন্ত, চা ব্যাপারটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা পানীয় (Tea Drinking)। তবে, প্রাত্যহিক জীবনের কিছু অভ্যেস যেমন খুব অস্বাস্থ্যকর হয়, অতিরিক্ত বেশি চা খাওয়াও ঠিক তেমনই অস্বাস্থ্যকর একটা বিষয়।

আজকের দিনে চা পানের অভ্যাস আরও অনেকটা বাড়িয়ে তুলেছে প্যান্ডেমিকের উপস্থিতি। ধোঁয়া ওঠা এক কাপ চা ছাড়া অনেকেরই দিন শুরু হয় না। আবার অনেকের দিনে বহুবার চা পান করার অভ্যাস রয়েছে। কারও কারও কাছে চা পান আবার শৌখিনতা। বিভিন্ন ধরনের চায়ের স্বাদ চেখে দেখতে পছন্দ করেন তাঁরা। আপনি যেই তালিকাতেই পড়ুন না কেন চা পান করার অভ্যাসটি বজায় রাখলে আপনারই লাভ। এমনটাই বলছে সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা।

চা পানের অভ্যাস যাঁদের রয়েছে তাঁদের মস্তিষ্ক অনেক বেশি সক্রিয়। এক মার্কিন জার্নালের সমীক্ষায় এমনই দাবি করা হয়েছে। প্রথমে কয়েকজনকে বেছে একটি ফর্ম ফিলাপ করানো হয়। যাতে প্রত্যেকে জানান, তাঁদের চা পানের অভ্যাস রয়েছে কিনা। থাকলে দিনে কতবার চা পান করেন, কোন ধরনের চা পান করেন। এই ফর্ম ফিলাপ করার পর প্রত্যেকের এমআরআই স্ক্যান করানো হয়। দেখা যায়, যাঁরা চা পান করেন তাঁদের মস্তিষ্ক, যাঁরা চা পান করেন না তাঁদের থেকে অনেক বেশি সক্রিয়।

কেন এমনটা হয়?

বিশেষজ্ঞদের মতে চায়ের মধ্যে ক্যাফিন থাকে। এতেই মস্তিষ্ক অনেক বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। যার ফলে মস্তিষ্ক নতুনভাবে ভাবনা চিন্তা করতে তৎপর হয়ে ওঠে। ফলে রোজ চা পানের অভ্যাস যাঁদের রয়েছে তাঁদের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতাও বেড়ে যায়। অবশ্য পুরো বিষয়টি এখনও তর্কসাপেক্ষ। আলসেমির মেজাজ কাটাতে যে চায়ের জুড়ি মেলা ভার, সেকথা চা প্রেমীরা অন্তত মানেন।

তবে, অতিরিক্ত চা পান করা অস্বাস্থ্যকর। অতিরিক্ত ক্যাফিন আমাদের রাতের ঘুম নষ্ট করতে পারে। এমনকি অনিদ্রার দিকেও অনেককে ঠেলে দিতে পারে। অতিরিক্ত স্ট্রেসে চা খেয়ে নেওয়া খুব একটা ভাল অভ্যেস নয়। এতে মাথার ওপর অনেক বেশি চাপ পড়ে। অভ্যেস দীর্ঘ দিনের হলে ব্রেন ডেডের সম্ভাবনাও একেবারে এড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাই, মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতে গিয়ে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের যেন কোনওরকম ক্ষতি না হয়, সেই বিষয়েও নজর রাখা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।