+91 98304-64566 atnmediicaree@gmail.com

চুল  ঝরা নিয়ে জেরবার জীবন। এতদিন তবু ঠাণ্ডা ছিল মাথা কম ঘামত। চুলও কম পড়ছিল। এবার গরম মানেই মাথা ঘামা শুরু। শ্যাম্পু করার পরেরদিনই চুল প্যাচপ্যাচে। ব্যাস চুল পড়া আরও বেড়ে যায়। এই সমস্যা ঘরে ঘরে। চিন্তা নেই আমাদের কাছে আছে আপনার এই সমস্যার সমাধান। অতিরিক্ত গরম পড়ার আগে চটপট একবার চোখ বুলিয়ে নিন আজকের আর্টিকেলে। চুলকে আগে থেকেই প্রস্তুত রাখুন।

কেন মাথা ঘামলে চুল ওঠে?

চুল হল কেরাটিন প্রোটিন। আর ঘাম এই প্রোটিনের সংস্পর্শে এলে চুল ভঙ্গুর হয়ে যায়। ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া চুল ঝরে পরে।

যাদের স্ক্যাল্প আগে থেকেই অয়েলি, ঘাম হলে আরও তেলতেলে হয়ে যায়। এতে নোংরা স্ক্যাল্পে চেপে বসে থাকে। ফলে চুল পরে।

ঘামলে স্ক্যাল্পে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয়। এতেও চুলের ক্ষতি হয়।

মাথায় খুশকি থাকলে সমস্যা আরও বাড়ে।

উপায়ঃ

তেল ম্যাসেজ করুনঃ

তেল হল চুলের খাদ্য। চুলকে তার খাবার না দিলে সেটা তো দুর্বল হবেই। সপ্তাহে দুদিন তেল স্ক্যাল্পে ম্যাসেজ করুণ। চাপ দেবেন না হালকা হাতে ম্যাসেজ করুণ। আগেরদিন রাতে তেল মেখে পরেরদিন শ্যাম্পু করে নিন। এতে তেল অনেকটা সময় স্ক্যাল্পে থাকবে। তেলতেলে চুল নিয়ে বাইরে না বেরনোই ভালো, এতে ধুলো নোংরা স্ক্যাল্পে আরও বসে যাবে। স্ক্যাল্পে অয়েলি হলে হালকা নন স্টিকি তেল ব্যবহার করুন।

নিয়মিত শ্যাম্পু দরকারঃ

আপনার চুল যদি খুব তেলতেলে প্রকৃতির হয় তাহলে সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন শ্যাম্পু করুণ। স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখা খুব দরকার। শ্যাম্পু করলে নোংরা যেমন জমতে পারে না, তেমনই অতিরিক্ত তেলও ধুয়ে যায়। শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার।

গরম ভাপ নিনঃ

সপ্তাহে এক বা দুদিন স্টিম নিন মাথায়। এতে রোমছিদ্রগুলি খুলে যায়। জমে থাকা ময়লা, তেল পরিষ্কার হয়ে যায়। পার্লারে বা বাড়িতেও করতে পারেন। তোয়ালে গরমজলে ভিজিয়ে সেটা জড়িয়ে রাখুন। এটা শ্যাম্পুর ঠিক আধঘণ্টা আগে করে নিন।

টাইট করে চুল বাঁধা নয়ঃ

চুল টাইট করে বাঁধা ভালো নয়। এতে চুলের গোঁড়ায় ঘাম জমে। যা থেকে চুল ওঠে। তাই চুল হালকা করে বাঁধুন। যাতে হাওয়া বাতাস খেলতে পারে আর মাথা না ঘামে।

চুল আঁচড়ানঃ

অনেকেই ঠিকমত চুল আঁচড়াবার সময় পান না। কিন্তু সারাদিন পর বাড়ি ফিরে অন্তত একবার ভালো করে চুল আঁচড়ান। যত চুল আঁচড়াবেন তত রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। ঘামও কম জমবে। হেয়ার ফলিকলস গুলিও ভালোভাবে কাজ করবে। ওপর নীচ সবদিক থেকে চিরুনি টানুন।

অতিরিক্ত ঘাম কীভাবে আটকাবেন?

দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকুন। স্ট্রেস ফ্রী থাকুন। অতিরিক্ত চিন্তা ভয় এসব থেকে ঘাম বেশী হয়।

অ্যাক্টিভ লাইফস্টাইল মেনে চলুন। প্রতিদিন ব্যায়াম ও যোগা করুণ।

ভাজাভুজি খাবার থেকে দূরে থাকুন। এসব খাবার থেকে খেলে ঘাম বেশী হয়।

বেশী করে জল পান করুণ। এতে শরীর ও চুল দুটোই ভালো থাকবে।

হেলদি ডায়েট মেনে চলুন। শাকসবজি, ফল খান প্রতিদিন। কারণ চুল হল একটা প্রোটিন তাই সেটা ভালো রাখতে পুষ্টি দরকার।